রুশ সেনাপ্রধান ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইসিসির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২০ পিএম, ২৬ জুন,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:০৭ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল ভ্যালেরি ও সাবেক রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি বলেছে, শোইগু এবং গ্যারিসমভ দু’জনই যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী। বেসামরিক বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা পরিচালনা করে তারা সাধারণ মানুষের চরম ক্ষতি ডেকে এনেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর থেকে অন্তত ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামোতে রুশ সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য এই দু’জনকে দায়ী করার যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পেয়েছেন বিচারকরা।
সের্গেই শোইগু ও ভ্যালেরি জেরাসিমোভসহ এ নিয়ে রাশিয়ার মোট আট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আইসিসি। ইউক্রেনীয় শিশুদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধেও এর আগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক এই আদালত।
এদিকে, আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিসের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক বলেছেন, শোইগু এবং গেরাসিমভকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।.
আইসিসির এই আদেশের বিষয়ে রাশিয়ার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশটি হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যও নয়। মস্কো বারবার বলেছে, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো তাদের বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু হলেও বেসামরিক ইউক্রেনীয় এবং বেসামরিক অবকাঠামোকে তারা কখনোই লক্ষ্যবস্তু করেনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৮৫১ দিনের মতো চলছে দেশ দুটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু মানুষ হতাহত হলেও এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।