যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েলে ৫ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে লেবানন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ২৪ জুন,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:৫৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
যে কোননো মুহূর্তে লেবাননে সর্বাত্মক হামলা শুরু করতে পারে ইসরায়েল। হামলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি। অন্যদিকে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, ইসরায়েল হামলা চালালে সমুচিত জবাব দেবে তারা। ইসরায়েলের স্পর্শকাতর সব লক্ষ্যবস্তুর ফুটেজ প্রকাশ করে সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকিও দিয়ে রেখেছে হিজবুল্লাহ।
এমন সময় লেবাননের গ্রান্ড শিয়া মুফতি শেখ আহমাদ কাবালান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, লেবাননের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করা হলে ইসরায়েল অভিমুখে পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে হিজবুল্লাহ।
তিনি রোববার বৈরুতে এক বক্তব্যে বলেন, পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েল যেন পাঁচ লাখ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত সহ্য করার জন্য প্রস্তুত থাকে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বিধ্বংসী ক্ষমতা ইহুদিবাদী দখলদার সরকারকে ৭০ বছর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
লেবাননের শিয়া গ্রান্ড মুফতি আরও বলেন, উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা ইসরায়েলের স্বার্থ নয় বরং প্রতিরোধ ফ্রন্টের স্বার্থ রক্ষা করবে। প্রতিরোধ ফ্রন্ট কেবল লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে চায়।
শেখ আহমাদ কাবালান বলেন, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হিজবুল্লাহকে পরাজিত করা সম্ভব বলে এক চরম বিভ্রান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি জানান, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কাছে সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল ভাণ্ডার থাকা সত্ত্বেও গত আট মাস ধরে তারা গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পরাজিত করতে পারেনি। অথচ গাজার যোদ্ধারা সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সাধারণ মানের অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে। পক্ষান্তরে লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এক বিশাল সমরাস্ত্র ভাণ্ডার।
লেবাননের শিয়া গ্রান্ড মুফতির এ হুঁশিয়ারির আগে হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ গত বুধবার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইহুদিবাদীরা যদি লেবাননের বিরুদ্ধে পূর্ণ-মাত্রার আগ্রাসন চালায় তাহলে ইসরায়েলের কোনো অংশ তার যোদ্ধাদের হামলা থেকে বাদ যাবে না।
এরপর রোববার হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে তেল আবিবকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ তেল আবিবকে এই বার্তা দিতে চেয়েছে যে, পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধ শুরু হলে এসব স্থাপনাকে টার্গেট করা হবে।