অনৈতিক সম্পর্কের বিনিময়ে নারীদের চাকরি দেন ইলন মাস্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ১৩ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:২৮ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নারী কর্মীদের সঙ্গে যৌনতার বিনিময়ে চাকরিতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বড় অংশই ধামাচাপা পড়ে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে। তবে এসবের মধ্যে কিছু অভিযোগ থাকে যা কপালে চোখ তুলে দেয়।
এমনই এক অভিযোগ এসেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম ও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এবং মহাকাশ গবেষণা কোম্পানি স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তার কোম্পানিতে চাকরি করা কয়েকজন নারী কর্মী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ইন্টার্ন কর্মীর সঙ্গে তিনি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এ ছাড়া সদ্য স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীকে সিসিলির একটি রিসোর্টেও নিয়ে গিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয় শারীরিক সম্পর্কের পাশাপাশি এক নারী কর্মীকে বাচ্চা জন্ম দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
মাস্ক মনে করেন, বিশ্বে উচ্চমাত্রার আইকিউ সম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা সফল হয়েছেন এবং যাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিজ্ঞান গভীর, তাদের বেশি বেশি সন্তান নেয়া প্রয়োজন।
নারী কর্মীরা জানান, মাস্ক তাদের দিকে অস্বাভাবিক মনোযোগ দিতেন। তার মালিকানাধীন টেসলা ও স্পেসেএক্স উভয় প্রতিষ্ঠানে তিনি এমন সংস্কৃতি গড়ে তুলেছেন যা নারী কর্মীদের জন্য অস্বস্তিকর।
২০১৬ সালে টেসলা থেকে অব্যাহতি নেওয়া এক নারী জানিয়েছেন, মাস্ক তাকে যৌনতার বিনিময়ে রেসিং ঘোড়া কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানিমূলক কৌতুক করা ছিল মাস্কের প্রতিষ্ঠানে একটি নিয়মিত ঘটনা।
যৌনতার পাশাপাশি কর্মপরিবেশে মাদক গ্রহণ করার অভিযোগও উঠেছে মাস্কের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, নিয়মিত এলএসডি, কোকেন, উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ওষুধ, মাশরুম এবং কেটামিনসহ বিভিন্ন রকম ড্রাগ ব্যবহার করেন এ বিলিয়নিয়ার। এমনকি পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের সামনেই এমনটা করতেন তিনি।
স্পেসএক্সে কাজ করা এক নারী জানান, তাকে রাতের বেলা নিজের বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। এমনকি ওই নারীকে একাধিক ম্যাসেজও পাঠান টেসলার এ প্রধান নির্বাহী। যৌন হয়রানি ও মাদকের পাশাপাশি মাস্কের কোম্পানিতে পুরুষ কর্মীদের তুলনায় নারীদের বেশি বেতন দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
বলা হয়, এসব নিয়ে যারা অভিযোগ করতেন, তাদের চাকরিচ্যুত করা হতো। তবে মাস্কের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।