রাইসির মৃত্যু: যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে রাশিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ২২ মে,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০৯:০৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অভ্যন্তরে উড়োজাহাজ চলাচল ব্যবস্থা সংকটের মুখে পড়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) এ মন্তব্য করেন সের্গেই লাভরভ। খবর রয়টার্সের।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের তৈরি উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ ইরানে সরবরাহের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
রাইসি যে হেলিকপ্টারে ছিলেন সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল ২১২ মডেলের। গত শতকের সত্তরের দশকে ইরান এই মডেলের বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার কেনে। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শাহের পতন ঘটার পরও যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আসছে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্র ও বড় বড় কয়েকটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের পক্ষে তাদের এসব উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টারের যন্ত্রাংশ পাওয়া বা হালনাগাদ করা কঠিন হয়ে উঠে।
গত রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি।
প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ।
সোমবার বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি শনাক্ত হওয়ার পর তাদের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইরার রাষ্ট্রীয় টিভি। ৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।