ইরানের প্রেসিডেন্ট কি বেঁচে আছেন?
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ২০ মে,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:০৭ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে দুশ্চিন্তার ডালপালা বাড়ছে। দেশটির কর্মকর্তারা স্পষ্টভাবে কোনো তথ্য জানাতে না পারায় ইরানেই রাইসির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ছে।
রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেয়নি রেড ক্রিসেন্ট। ফলে রাইসির মৃত্যুর আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে এক ফ্লাইট ক্রুর মোবাইল ফোনের সংকেত শনাক্ত করে উদ্ধারকারী দল। ওই সংকেতের সূত্র ধরেই উদ্ধারকারী দলটি দুর্ঘটনাকবলিত স্থানটি খুঁজে পায়।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে পূর্ব আজারবাইজানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস এর কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহ বলেন, আমরা এখন সমস্ত সামরিক বাহিনী নিয়ে ওই এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমি আশা করি আমরা জনগণকে খুব দ্রুত সুসংবাদ দিতে পারব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরিভিত্তিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করে। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। ওই অঞ্চলে একটি বাঁধের উদ্বোধন শেষে রাইসি ফিরছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন।
দুর্ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় বর্ণনায় ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বলা হচ্ছে। কিন্তু এতে হেলিকপ্টারটির অবস্থা কী হয়েছে তা বলা হয়নি। এ পরিভাষায় কী বোঝানো হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়।
দেশটির ফারস নিউজ এজেন্সি প্রেসিডেন্টের জন্য দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্ধার অভিযানের সর্বেশেষ তথ্য নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও, দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য উদ্ধারকারী দলগুলো আন্তরিক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়াও দুর্ঘটনার পরপর এর কারণ অনুসন্ধানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও সমর্থন দিয়েছে এবং বলেছে যে তারা ইরানের পাশে আছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে। দেশটির সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠিয়েছে।