ইসরায়েলি হামলা জোরদার, রাফা ছেড়েছেন ৬ লাখ ফিলিস্তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৫ এএম, ১৬ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:০৮ এএম, ৭ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় হামলা আরও জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ৬ মে অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ফিলিস্তিনি সেখান থেকে সরে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
রাফা শহরের পাশাপাশি উত্তর গাজার জাবালিয়াতেও হামলা জোরদার করেছে দখলদার ইসরায়েল।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।
জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে। গত বুধবার এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
এমন হুঁশিয়ারির জবাবে পরদিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, কোনো ধরনের চাপই ইসরাইলকে গাজা গণহত্যা ও চলমান যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জনে বাঁধা দিতে পারবে না। প্রয়োজনে ইসরায়েল একা দাঁড়াবে। এমন অবস্থার মধ্যেই রাফাহ অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৬ মে থেকে রাফার প্রায় ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৬ মে থেকে প্রায় ৬ লাখ মানুষ- যা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ- রাফা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কারণ সেখানে ইসরায়েলি স্থল অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ মে থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ গত ৪৮ ঘণ্টায় রাফা থেকে পালিয়ে গেছে।