ইসরায়েলে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লেবাননের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৯ এএম, ১৪ মে,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:২৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ইসরায়েলের মোকাবিলায় একজোট হয়ে কাজ করছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দলটি ইসরায়েলে একের পর এক পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে। এবার তারাই দেশটিতে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, অধিকৃত লেবাননের শেবা ফার্মের কাছে ইসরায়েলের একটি সেনা সমাবেশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় জিহাদ মুগনিয়া নামের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহর সাবেক এক যোদ্ধার নামে এ ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে জিহাদ মুগনিয়া নামের ওই যোদ্ধা ইসরায়েলি গুপ্তচরদের হামলায় নিহত হন।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র সুনির্দিষ্ট লক্ষবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি দিয়ে হামলা চালালে বেশ বড় রকম ক্ষয়ক্ষতির কথাও জানায় গোষ্ঠীটি।
এর আগে লেবাননের এ সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা সামরিক যানে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ ছাড়া ইসরায়েলের হুনিন ব্যারাকে মোতায়েন করা কয়েকটি কারিগরি ডিভাইসে হামলা চালায় হিজবুল্লাহ।
এ ছাড়া গত ২৪ এপ্রিল ইসরায়েলের ছোড়া পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত করে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। এসব ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে ইসরায়েল সরকার এবং প্রতিরোধ যোদ্ধা ও তাদের সমর্থকদের কাছে হিজবুল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ইরানপন্থি এই গোষ্ঠীটির দাবি, হামাসের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে তারা এসব হামলা করে আসছেন। একমাত্র গাজায় ইসরায়েল নির্বাচারে হামলা বন্ধ করলেই তারা এসব আক্রমণ বন্ধ করবেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর পরের দিন থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহও। দখলদার ইসরায়েলি সেনারা যেন গাজার পাশাপাশি লেবানন সীমান্তেও ব্যস্ত থাকে সে জন্য হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো অব্যাহত রাখে।
যদিও হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি তবে যে কোনো সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বড় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।