জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টায় সোমালি পুলিশও
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৫ পিএম, ২৫ মার্চ,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৪৫ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করতে আল্টিমেটাম দিয়েছে সোমালি পুলিশও। দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পাটল্যান্ড পুলিশ বিভাগ বলছে, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।
শনিবার বিবিসি সোমালি বিভাগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুফ বলেন, ‘জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে তারা এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়।’
তবে নিজেদের ভূমিতে অভিযান চালালেও, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে যেকোনো ধরনের অভিযানের ব্যাপারে আপত্তি আছে বাংলাদেশ সরকার ও মালিকপক্ষের। কেননা এই মুহূর্তে নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকার চাচ্ছে মুক্তিপণের মাধ্যমেই জাহাজটি উদ্ধার করতে।
বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, উদ্ধার অভিযান শুরু করলে তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তৈরি হতে পারে মৃত্যু ঝুঁকির মতো পরিস্থিতি। তাই এ ধরনের কোনো অভিযানে সায় নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘মৃত্যু ঝুঁকি আছে এমন কোনো অভিযানে অনুমতি দেবে না বাংলাদেশ সরকার। সরকার চাইছে আগের মতোই মুক্তিপণের মাধ্যমে দস্যুদের কাছ থেকে নাবিকদের উদ্ধার করতে।’
এদিকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ শুরু হলেও এখনো মুক্তিপণের টাকার অঙ্ক নিয়ে মুখ খুলছে না মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ।
গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম মিজানুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘দস্যুদের সাথে আমাদের গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ধরণের আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
এমন অবস্থায় কেন এখনো মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আলোচনা হয়নি, সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।
গত প্রায় এক সপ্তাহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ উপকূল থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে থাকলেও সেটিকে এখন নেওয়া হয়েছে উপকূল থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্দী জাহাজের ২৩ জন নাবিক। এ অবস্থা থেকে মুক্তি নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় আছে পরিবারগুলো।
কয়েকটি পরিবারের সাথে বিবিসি বাংলার কথা হয়। তারা বলছেন, জিম্মি দশায় জাহাজের নাবিকদের সব চেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে পানির। এ কারণে কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়ছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন।
চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের ছোট ভাই আসিফ খান বিবিসি বাংলাকে জানান, জলদস্যুরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে পানি ব্যবহারে। যে কারণে তার ভাইসহ কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।