পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে হামলা, নিহত ৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৮ পিএম, ২১ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:৩৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
পাকিস্তনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের গোয়াদর বন্দরে একটি বড় ধরনের হামলা প্রতিহত করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় গোয়াদর বন্দর কর্তৃপক্ষের ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আট সশস্ত্র যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
গোয়াদর বন্দর হলো চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি নেওয়া পাকিস্তান সরকারের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হলো এটি।
সাঈদ আহমেদ উমরানি নামে এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা গোয়াদর বন্দর কমপ্লেক্সে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার লড়াই করেছেন। এরপর তারা নিহত হয়। এ ছাড়া এই লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত দুজন আহত হয়েছে। অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ওই এলকায় এখানো তল্লাশি চলছে।
গোয়াদর শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী আলজাজিরাকে বলেছেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে হামলা শুরু হয়। প্রথমে দুটি বড় বিস্ফোরণ হয। পরে বিকট শব্দ ও দীর্ঘসময় বিস্ফোরণ ঘটে। গোলাগুলি এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলতে থাকে।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এক এক্সবার্তায় বলেছেন, যদি কেউ সহিংসতার পথ বেছে নেয় তাহলে তাকে কোনো করুণা করা হবে না। যারা আজ পাকিস্তানের জন্য সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাদের ধন্যবাদ।
এই হামলার দায় ইতিমধ্যে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) সশস্ত্র শাখা মাজিদ ব্রিগেড স্বীকার করেছে। বিএলএ পাকিস্তানের একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। তারা পাকিস্তান থেকে এই প্রদেশটিকে আলাদা করার দাবিতে বহু বছর ধরে লড়াই করে আসছে।
এক বিবৃতিতে বিএলএ বলেছে, ভবনের ভেতরে থাকা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়কে টার্গেট করা হয়েছিল। বিএলএ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিস্তারিত গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
তবে এবারই গোয়াদরে প্রথম হামলা হয়নি। এর আগেও বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। এই শহরে অনেক চীনা নাগরিক বসবাস করেন। তারা বন্দর নির্মাণে কাজ করছেন।
গত বছরের আগস্টে গোয়াদরে ২৩ চীনা প্রকৌশলীর একটি গাড়ি বহরকে নিশানা করেছিলেন দুই বন্দুকধারী। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তারা নিহত হয়। সেই হামলার দায়ও স্বীকার করেছে বিএলএর মাজিদ ব্রিগেড।