বিশ্বের শীর্ষ ধনী এখন জেফ বেজোস, ইলন মাস্ক নন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৫ পিএম, ৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:৫৪ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
অনলাইন খুচরা পণ্য বিক্রির ওয়েবসাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাটা জেফ বেজোস (৬০) আবারও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছেন। টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে হটিয়ে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেওয়ার্স ইনডেক্সের চূড়ায় এখন বেজোস। তৃতীয় স্থানে আছেন বার্নার্ড আরনল্ট।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সে সোমবার এই রদবদল হয়েছে। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনভিত্তিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলার। ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সম্পদ ১৯৮ বিলিয়ন ডলার।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টেসলার শেয়ারের দাম ২৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় মাস্ক প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন।
কাঁটা ঘায়ে লবণের ছিটা দিতে আদালত জানুয়ারিতে টেসলার সঙ্গে মাস্কের পারিশ্রমিক চুক্তি বাতিল করেছে, যার মোট মূল্যমান ছিল ৫৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এক্স ও স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী মাস্ক টেসলার সঙ্গে ২০১৮ সালে এই চুক্তি করেছিলেন।
জানা গেছে, সোমবার টেসলার শেয়ারের ৭ দশমিক ২ শতাংশ দরপতন হয়। ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, এর জেরে ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৯৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে। অন্যদিকে, এদিন বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সাল থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান কমবেশি নিজের দখলে রেখেছিলেন ৫২ বছর বয়সী ইলন মাস্ক। কিন্তু প্রথমবারের মতো সেই অবস্থানে হানা দিলেন ৬০ বছরের বেজোস।
উল্লেখ্য, টেসলা, টুইটার ছাড়াও রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ইলন মাস্ক। নিউরালিংক স্টার্টআপ মানুষের মস্তিষ্ককে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য অতি উচ্চ ব্যান্ডউইডথের ব্রেন মেশিন ইন্টারফেস তৈরি করছে।
অন্যদিকে, বেজোসের নেতৃত্বে অ্যামাজন এখন ই-কমার্সের পাশাপাশি ক্লাউড কম্পিউটিং, অনলাইন বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল স্ট্রিমিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসাও পরিচালনা করছে। এছাড়াও মহাকাশে মানুষবাহী রকেট পাঠানো প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিন’–এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি।