নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬৭
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ১৫ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৪২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
৭২ আরোহী নিয়ে নেপালের একটি বিমান পোখারা বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়েছে। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়ে।
এর আগে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাওয়ার পর অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। সেই সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এটিআর ৭২ মডেলের দুই ইঞ্জিনের বিমানটিতে মোট ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের ১৫ জনই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। বাকি চারজন ছিলেন বিমানটির কর্মী। বিমান বিধ্বস্তের পরপরই নেপালের সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
নেপালের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালি ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। বাকিদের মধ্যে পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ান এবং দুইজন কোরিয়ার নাগরিক ছিলেন। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন বিমানটিতে।
এই ঘটনার পর মন্ত্রিপরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল। দেশের এজেন্সিগুলোকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
নেপালে ১৯৯২ সালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরে এটাই সবচেয়ে বেশি মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা। এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, সেই বছর পাকিস্তানি এয়ারবাস এ৩০০ কাঠমান্ডুতে অবতরণ করগে গিয়ে একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এই বিমানটি ১৫ বছরের পুরনো ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, দুই ইন্জিনের এটিআর ৭২ বিমানগুলো যৌথভাবে তৈরি করে এয়ারবাস এবং ইটালির লিওনার্দো কোম্পানি। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এ ধরনের ছয়টি বিমান রয়েছে।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা একেবারে বিরল নয়। গত এক যুগে নেপালে অন্তত আটটি বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে যাতে যাত্রী ও ক্রু মিলে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ ১৪টি পর্বত শৃঙ্গের আটটি নেপালে রয়েছে, যার মধ্যে হিমালয়ও অন্যতম। নেপালে যেকোনো সময় পরিবর্তনশীল আবহাওয়া এবং পাহাড়ের মাঝে কঠিন এয়ারস্ট্রিপ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।