বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানী বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ৪ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১৪ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে অভিযোগ করেছে তাকে আমলে নিতে চায়না ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র নেড প্রাইস একে ‘রুশ প্রোপ্যাগান্ডা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের প্রথম ব্রিফিংয়ে নেড প্রাইসের সামনে সম্প্রতি বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের হয়রানি হওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন এক সাংবাদিক। ওই ঘটনার পর রাশিয়া অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পিটার হাসের হয়রানি হওয়ার ঘটনাটিও তার কূটনীতিক কার্যকলাপের কারণেই হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, দেখুন, আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে এই বিষয়ে যা শুনেছি তা আমি আমলে নিচ্ছি না। আপনি জানেন, আমরা সাধারণত এ ধরনের প্রোপ্যাগান্ডাকে গুরুত্ব দেই না। আমি আমাদের অবস্থান থেকে যা বলতে পারি তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উপস্থিতি আছে এমন প্রতিটি দেশে আমরা নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলজুড়ে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে দেখা করি এবং অবশ্যই এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
মুখপাত্র আরো বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শনের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের জনগণের মতপ্রকাশ, সমবেত হওয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান ও রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। এসব আহ্বানের কথা আমার কাছ থেকে শুনেছেন, এই দপ্তর থেকে শুনেছেন এবং বাংলাদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকেও শুনেছেন। আমরা বিশ্বজুড়ে এই আহ্বান জানিয়ে যাবো।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে বাংলাদেশের বিরোধী দলের চেয়ারপার্সন দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি হয়ে আছেন বলে জানান এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দলের মহাসচিবসহ হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কি তাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানাবে?
জবাবে মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আমরা বাংলাদেশের সব দলকে আইনের শাসনকে সম্মান করার, সহিংসতা, হয়রানি, ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো দল বা প্রার্থী যাতে অন্য কোনো দল বা প্রার্থীর বিরূদ্ধে হুমকি, উস্কানি না দেয় বা সহিংসতা না ঘটায় তা নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
নেড প্রাইস আরও যুক্ত করেন, প্রকৃত নির্বাচনে সব প্রার্থীর কোনো ধরনের সহিংসতা, হয়রানি ও হুমকি ছাড়াই ভোটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ থাকা প্রয়োজন। যখন সহিংসতা, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন, অযৌক্তিক আটকের খবর আসে, তখনই আমরা সরকারকে ওই খবরগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য আহ্বান জানাই।