রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দিলো আদালত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:২৭ এএম, ১২ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভারতের উচ্চ আদালত রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আসামি নলিনী শ্রীহরণসহ ৬ জনকে মুক্তি দিয়েছেন। মূলত সোনিয়া গান্ধী বিষয়টি ক্ষমা করে দেওয়ায় আসামিদের মুক্তির দেয়া হয়। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী আসামিদের ক্ষমা করে দিলেও কংগ্রেসের অবস্থান এ বিষয়ে ভিন্ন। দলটি সোনিয়া গান্ধীর এ অবস্থানের সঙ্গে একমত নয় বলে জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে তারা হত্যাকারীদের মুক্তির সমালোচনা করেছে। খবর হিন্দুস্তান টাইম্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালে সোনিয়া গান্ধীর সমর্থনে নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। ২০০০ সালে রাজীব গান্ধীর স্ত্রী ও কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী নলিনী শ্রীহরণের ক্ষমার আবেদন করেন। সোনিয়া গান্ধী উল্লেখ করেন, নলিনীকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। ২০০৮ সালে জেলে নলিনীর সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা বিষয়টি আইনি পথে মোকাবিলা করবে। কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি জানান, সোনিয়া গান্ধীর সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত অবস্থান। কিন্তু দল হিসেবে কংগ্রেস এর সঙ্গে একমত নয়। কংগ্রেসের অবস্থান পরিষ্কার। কংগ্রেস কখনোই সোনিয়া গান্ধীর সেই মতামতের সঙ্গে একমত নয়।
রাজীব গান্ধীর হত্যা আর পাঁচটা অপরাধের মতো নয়। এটা একটি জাতীয় সমস্যা, কোনো স্থানীয় হত্যাকাণ্ড নয়। তাদের এই বিষয়ে স্পষ্ট মত রয়েছে। কারণ তাদের মতে, একজন বর্তমান বা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হত্যা দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, পরিচয়ের সঙ্গে জড়িত। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কখনো একমত হয়নি বলে জানান মনু সিংভি।
আসামিদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানান, রাজীব গান্ধীর খুনিদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল। কোনো ভাবেই এটি মেনে নেওয়া যায় না।
কংগ্রেস স্পষ্টভাবে এই রায়ের সমালোচনা করে এবং এটি সম্পূর্ণ ভুল বলে মনে করে। সব চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে ভারতের ভাবাবেগের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান জয়রাম রমেশ।
১৯৯১ সালের ২১ মে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শ্রীপেরুমবুদুরে জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার তামিল টাইগার্সের (এলটিটিই) এক সদস্যের আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন রাজীব গান্ধী।