পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩০
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:৩৬ এএম, ২৫ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
পাকিস্তানে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩০ জনে। বন্যার সংকট মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেরি রেহমান অবিলম্বে মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শেরি রেহমান জানান, পাকিস্তান জুড়ে বন্যার কারণে ১ হাজার ৩৪৮ জন আহত হয়েছেন। বাস্তুচু্ত হয়েছেন আরো কয়েক হাজার মানুষ। দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে প্রবল বর্ষণে প্রথমে বন্যা হয়। এরপর টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সিন্ধু প্রদেশের আরো ৩০ জেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এবারের বর্ষা মৌসুমে সিন্ধু এবং বেলুচিস্তানে গড় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩৯৫ ও ৩৭৯ শতাংশ। এর ফলে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
২০১০ সালে এমন বন্যা পরিস্হিতি দেখেছিল পাকিস্তানের মানুষ। মানবিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই মুহূর্তে, সিন্ধু নদের পানি উপচে সিন্ধু রাজ্য প্লাবিত হয়েছে, যা বিপর্যয়ের বর্তমান কেন্দ্রস্হল বলে মনে করা হচ্ছে। সিন্ধুর ৩০টি জেলায়, এমনকি বেলুচিস্তানের আশ্রয়কেন্দ্রও বিপজ্জনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এখন দক্ষিণ পাঞ্জাবেও একইভাবে নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, বহু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গবাদি পশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশে ২১৬ জনের মৃতু্য হয়েছে। বন্যায় প্রায় ১৫ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই প্রদেশে।
বর্তমানের জলবায়ু বিপর্যয়ে মানবিক সহায়তার জন্য অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংহতি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন শেরি রেহমান।
এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তত্পরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে এই সপ্তাহে দেশটিতে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে।