ফ্রান্স, গ্রিস, পর্তুগালের পর এবার দাবানল ছড়াচ্ছে স্পেনে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ১৫ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৯ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দাবানল ধেয়ে আসছে বলে স্পেনের বিভিন্ন শহর থেকে মানুষ পালাচ্ছে। অ্যানন দে মনকায়ো থেকে এক হাজার ৫০০ মানুষকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ইউরোপ আবার দাবানলের কবলে। ফ্রান্স, গ্রিস, পর্তুগালের পর এবার দাবানল ছড়াচ্ছে স্পেনে।
উত্তরপূর্বের শহরগুলির অবস্থা খারাপ। সেখানে হাজার হাজার হেক্টর জমির বনভূমি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে দাবানল। খুব জোরে হাওয়া বইছে। শুকনো আবহাওয়া ও ঝোড়ো বাতাসের ফলে দাবানলও দ্রুত ছড়াচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাওয়া খুব তাড়াতাড়ি গতি পরিবর্তন করছে। ফলে আগুন নেভাতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনশ দমদল ওই শহরে আগুন নেভাবার কাজ করছে। অ্যানন দে মনকায়ো থেকে আগুন দ্রুতগতিতে শহর ও গ্রামের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে শুধু বনভূমি নষ্ট হচ্ছে তাই নয়, বাড়িঘর সব পুড়ে যাচ্ছে।
বনবিভাগের স্থানীয় প্রধান বলেছেন, শনিবার আগুন লেগেছে এবং তা দ্রুত ৫০ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অন্ততপক্ষে আটটি গ্রাম থেকে মানুষদের সরানো হয়েছে। তাদের কাছের শহরে তিনটি স্পোর্টস সেন্টারে রাখা হয়েছে। শুধু উত্তরপূর্বেই নয়, স্পেনের দক্ষিণপূর্বের এলাকাও দাবানলের কবলে পড়েছে। ২০০৬ এর পর থেকে স্পেনে এত ভয়াবহ দাবানল আগে কখনো হয়নি।
ইউরোপীয় আর্থ অবসারভেশন সিস্টেম হিসাব করে দেখেছে, ২০২২-এ দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টরের বেশি বন ও আবাসিক এলাকা দাবানলের কবলে পড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই বছর ৪০০ এর বেশি দাবানল হয়েছে। এই বছর সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল হয়েছে এবং হচ্ছে স্পেনে। দাবানলের পাশাপাশি তাপপ্রবাহ চলছে ও খরার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
এবছর ফ্রান্স, গ্রিস ও পর্তুগালও দাবানলের কবলে পড়েছিল। ফ্রান্সে এক হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফ্রান্সেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলেছে। তবে পরে বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।