শ্রীলঙ্কায় অর্থায়ন করতে অস্বীকৃতি বিশ্ব ব্যাংকের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ৩০ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১৮ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
শ্রীলঙ্কার দুর্দশা যেনো কাটছেই না। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে তাদের আশা ছিল বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন। কিন্তু শুক্রবার বিশ্ব ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে, অর্থনীতিতে গভীর কাঠামোগত পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত তারা শ্রীলঙ্কাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করবে না। তাদের মত হচ্ছে, চলমান সংকট সমাধানের আগে শ্রীলঙ্কার একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করা জরুরি।
ডেইলি মেইলের খবরে জানানো হয়েছে, ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশটি গত কয়েক মাস ধরে তীব্র জ্বালানি ও খাদ্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে দেশটির রয়েছে ৫১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ। সব মিলিয়ে সংকটের কোনো কূল কিনারা পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ব ব্যাংকের দ্বারস্ত হয়েছিল দেশটি। তবে এবার সেখান থেকেও নানা শর্ত আরোপ করা হচ্ছে।
বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, তারা শ্রীলঙ্কার মানুষের উপরে চলমান সংকটের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
কিন্তু সরকার যতদিন না প্রয়োজনীয় সংস্কার না আনছে ততদিন তারা অর্থায়ন করতে প্রস্তুত নয়। এক বিবৃতিতে তারা বলে, যতদিন না পর্যাপ্ত সামষ্টিক
অর্থনৈতিক নীতিমালায় পরিবর্তন কার্যকর না হচ্ছে, শ্রীলঙ্কাকে নতুন তহবিল প্রদানের কোনো পরিকল্পনা বিশ্ব ব্যাংকের নেই। এই অর্থ পেতে হলে দেশটিকে অবশ্যই তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কাঠামোগত সংস্কার আনতে হবে এবং তাদের বর্তমান সংকটের কারণ খুঁজে বের করে চিহ্নিত করতে হবে।
বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, তারা ওষুধ, গ্যাস এবং স্কুলের খাবারের জন্য ১৬০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে শ্রীলঙ্কাকে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের সঙ্গেও আলোচনায় রয়েছে দেশটি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। কিন্তু এরইমধ্যে কয়েক মাস ধরে খাদ্য ও জ্বালানী সংকটে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। ফরেন রিজার্ভ না থাকায় আমদানি প্রায় বন্ধ রয়েছে। দেশের এই পরিণতির জন্য শাসকগোষ্ঠীকেই দায়ী করছেন দেশটির বড় একটি অংশ। তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এ বছরের প্রথম থেকেই।
জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৬০.৮ শতাংশে। এ বছর ডলারের বিপরীতে অর্ধেক দাম হারিয়েছে শ্রীলঙ্কার রুপি। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, প্রতি ছয়টি পরিবারের পাঁচটিকেই মানহীন খাবার খেতে হচ্ছে কিংবা না খেয়ে থাকতে হচ্ছে।