এবার চিনি রফতানিতে বিধিনিষেধ দিচ্ছে ভারত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ২৪ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩২ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
গম রফতানি নিষিদ্ধের পর এবার চিনি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছে ভারত। স্থানীয় বাজারে দাম কমানোর লক্ষ্যে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবার চিনি রফতানি সীমিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির সরকার। ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বৈশ্বিক খাদ্য পরিস্থিতি আরও বড় সংকটে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদক ভারত, এটি রফতানিতে তাদের অবস্থান কেবল ব্রাজিলের পেছনে। তবে ভারতীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (২৪ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ বছর দেশটি চিনি রফতানির পরিমাণ মাত্র এক কোটি টনে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে।
গত মার্চ মাসেই রয়টার্স জানিয়েছিল, স্থানীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা নিশ্চিত করতে চিনি রফতানি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করছে ভারত। প্রাথমিকভাবে দেশটি চিনি রফতানির সীমা ৮০ লাখ টন করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু পরে স্থানীয় কারখানাগুলোকে বিশ্ববাজারে আরও কিছু চিনি বিক্রির সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করেছে ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির আগের পূর্বাভাসে চিনি উৎপাদন ৩ কোটি ১০ লাখ টন বলা হয়েছিল। কিন্তু নতুন পূর্বাভাসে সম্ভাব্য উৎপাদন ৩ কোটি ৫৫ লাখ টন বলা হয়েছে। সরকারি ভর্তুকি ছাড়া ভারতীয় কারখানাগুলো চলতি ২০২১০২২ বিপণনবর্ষে এ পর্যন্ত ৮৫ লাখ টন চিনি রফতানির চুক্তি করেছে। এরই মধ্যে প্রায় ৭১ লাখ টন চিনি বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুম্বাই-ভিত্তিক এক ডিলার বলেছেন, এক কোটি টনের সীমা যথেষ্ট বড়। এতে কারখানা ও সরকার উভয়ই খুশি থাকবে।
তিনি জানান, এক কোটি টন রফতানির পর আগামী ১ অক্টোবর ২০২২-২৩ মৌসুম শুরুর সময় ভারতে চিনির মজুত দাঁড়াতে পারে মোট ৬০ লাখ টন, যা উৎসব মৌসুমের চাহিদা পূরণ করতে যথেষ্ট।