বাংলোদেশীসহ ৮১ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ১৬ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৩৪ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ৮১ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করেছে তিউনিশিয়া। যার মধ্যে ৩২ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
দেশটির নৌবাহিনী শনিবার (১৪ মে) এই অভিবাসী, শরণার্থীদের উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে। নৌকায় করে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে তারা সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিলেন। নৌবাহিনী জানায়, তিউনিশিয়ার উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে বিপদে পড়া নৌকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় তাদের।
নৌকার যাত্রীদের মধ্য ৩৮ জন মিশরীয়, ৩২ জন বাংলাদেশি, ১০ জন সুদানিজ এবং এক মরোক্কান ছিলেন।’ ২০ থেকে ৩৮ বছর বয়সি এই অভিবাসীরা তিউনিসিয়ার সীমান্তবর্তী লিবিয়ার উপকূলীয় গ্রাম আবু কামাশ থেকে যাত্রা করেন বলে নৌকর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদেরকে দেশটির ন্যাশনাল গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে।
রুটবিহীন পথে ইউরোপ পৌঁছানোর লক্ষ্যে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া ও লিবিয়া থেকে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে বিভিন্ন দেশের অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তাদের প্রথম লক্ষ্য তিউনিসিয়া থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইতালির দ্বীপ লাম্পেডুসা।
সমুদ্রে যাত্রাকালে এই অভিবাসীরা প্রায়ই লিবিয়া বা তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। গত মাসে যাত্রার প্রস্তুতিকালে ৫৪২ জনকে আটকের কথা জানিয়েছে লিবিয়া।
সমুদ্রের শক্তিশালী ঢেউয়ের বিপরীতে দুর্বল নৌকায় পাড়ি দেওয়া অভিবাসীনপ্রত্যাশীরা প্রায়ই বিপদে পড়েন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমধ্যসাগরে ২০২১ সালে সমুদ্রে ডুবে গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন এমন অভিবাসী, শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার জন। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১৪০১ জন৷
মৃত্যুঝুঁকি থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে উন্নত জীবন যাপনের আশায় এশিয়া, আফ্রিকার অভিবাসীরা ভয়ংকর এই পথ বেছে নিচ্ছেন।