রাশিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে একাধিক বিস্ফোরণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৩৪ এএম, ২৭ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী রাশিয়ার বেলগোরোদ শহরে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরের শহরটিতে আজ বুধবার দিনের শুরুতে এসব বিস্ফোরণ ঘটে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।
সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ টেলিগ্রামে আঞ্চলিক গভর্নর ভিয়েচেস্লাভ গ্লাদকভ জানান, বুধবার ভোররাত ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে তিনি বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি লেখার সময় আরও তিনটি বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান।
গ্লাদকভ পরে জানান, গ্রামীণ বসতি এলাকায় একটি গোলাবারুদ গুদামে আগুন জ্বলছিল বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেসামরিক কোনো লোকজন নেই।
চলতি মাসে বেলগোরোদ শহরের একটি জ্বালানি মজুতে ইউক্রেন হেলিকপ্টারের সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এই প্রদেশের কয়েকটি গ্রামে গুলি চালানোরও অভিযোগ মস্কোর।
এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে রুশ ভূখণ্ডে হামলার উসকানির বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ব্রিটেন যদি রাশিয়ায় হামলায় ইউক্রেনকে উসকানি দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে এর ‘সমুচিত জবাব’ দেওয়া হবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বিবিসিকে দেওয়া ব্রিটেনের সশস্ত্র বাহিনীবিষয়ক মন্ত্রী জেমস হেপির সাক্ষাৎকারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। বিবিসি রেডিওকে তিনি বলেছিলেন, রসদ ও সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত করতে রাশিয়ার গভীরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো ইউক্রেনের জন্য পুরোপুরি বৈধ। পশ্চিমারা এখন ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র সরবরাহ করছে, তা রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে সক্ষম বলেও স্বীকার করেন তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কিয়েভের সরকারকে লন্ডনের সরাসরি উসকানির বিষয়ে আমরা বলতে চাই, যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালানো হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের সমুচিত জবাব পাবে। যেমনটা আমরা সতর্ক করে আসছি, কিয়েভের নীতিনির্ধারণী কেন্দ্রে নিখুঁত হামলায় সক্ষম দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে প্রতিশোধমূলক আঘাত হানতে রুশ সশস্ত্র বাহিনী সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে।’ যদি এমন হামলা চালানো হয়, একটি নির্দিষ্ট পশ্চিমা দেশের প্রতিনিধিরা ইউক্রেনের নীতিনির্ধারণী কেন্দ্রে থাকলেও তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরপর ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা।