ইউক্রেনের মিসাইলের আঘাতে ডুবল রুশ সামরিক শক্তির প্রতীক মস্কভা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১৫ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ইউক্রেনের মিসাইল হামলায় ডুবে গেছে রাশিয়ার সামরিক শক্তির প্রতীক যুদ্ধজাহাজ মস্কভা। এরই মধ্যে রাশিয়ার তরফ থেকে মস্কভা ডুবে যাওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটি ডুবের যাওয়ার কারণ এড়িয়ে গেছে। শুধু বলা হয়েছে, গত বুধবার বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া তাদের রণতরীটি টেনে বন্দরে নেয়ার সময় ডুবে গেছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
রাশিয়ার বর্ণনায় বলা হয়, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার এই ফ্লাগশীপ জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলে বন্দরের দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে আগুনের কারণে জাহাজটিতে রাখা গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হতে থাকে এবং এরপর সব ক্রুকে নামিয়ে আনা হয়। পরে সাগর উত্তাল হওয়ায় সেটি ডুবে যায়। এ সময় এতে ৫১০ জন ক্রু ছিল বলে জানা গেছে। মিসাইলবাহী এ যুদ্ধ জাহাজটি ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ নৌবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিল।
রাশিয়া ডুবে যাওয়ার কারণ স্পষ্ট না করলেও ইউক্রেন দাবি করেছে যে, তাদের মিসাইলের আঘাতেই মস্কভা ডুবেছে। মস্কভা কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ান নৌবহরের এক ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ। ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ হচ্ছে কোনো নৌবহরের নেতৃত্বদানকারী জাহাজ, যেটি অধিনায়ক ব্যবহার করেন। নৌবহরের অন্যান্য জাহাজের তুলনায় ফ্ল্যাগশীপ জাহাজ সাধারণত খুবই দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী হয়। ক্রুজার মস্কভা ২০০০ সাল থেকে কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। এর আগের নাম ছিল স্লাভা।
১৯৮০ দশকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনেরই এক ডকইয়ার্ডে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়। ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বাহিনীর ছোঁড়া দুটি নেপচুন মিসাইল মস্কভার ওপর আঘাত হেনেছে। মস্কভা জাহাজ নিয়ে আলোচনা ছিল ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে। সে সময় একটি দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডে এই জাহাজ গিয়ে সেখানে মোতায়েন সব ইউক্রেনীয় সৈন্যকে আত্মসমর্পণ করার জন হুমকি দেয়। সিরিয়া যুদ্ধের সময়ও রাশিয়া এই মস্কভা জাহাজটি সিরিয়ান সেনাদের নৌ সুরক্ষার কাজে ব্যবহার করেছে।
মস্কভাতে জাহাজ বিধ্বংসী মিসাইল এবং সাবমেরিন ও টর্পেডো বিধ্বংসী অস্ত্র ছিল। এর ওজন ছিল ১২ হাজার ৪৯০ টন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই হলো সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনা। এর আগে মার্চে রাশিয়া আরেকটি জাহাজ হারিয়েছিল ইউক্রেনের হামলায়। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা মস্কভায় মিসাইল হামলার অস্পষ্ট কিছু ফুটেজ টুইটারে শেয়ার করেছেন।