শ্রীলঙ্কায় ওষুধপত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম সরবরাহে ঘাটতি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ৮ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
অর্থনৈতিক সঙ্কটে দেউলিয়া হওয়ার পথে শ্রীলঙ্কায় এবার সতর্কতা দিয়েছে মেডিকেল এসোসিয়েশন। তারা বলেছে, ওষুধপত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম সরবরাহে ঘাটতি আছে। এই সঙ্কটের কারণে জরুরি বিভাগের সেনা দেয়া পর্যন্ত অসম্ভব হয়ে পড়বে হাসপাতালগুলোতে। এ খবর দিয়ে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই লিখেছে, মেডিকেল এসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার বলেছে- অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে দেশে সামনের সপ্তাহগুলোতে ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জামের ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দেবে। এর ফলে জরুরি বিভাগে সেবা দেয়াও কঠিন হয়ে পড়বে। যদি এসব সরবরাহ দেয়া না হয় তাহলে মৃত্যুর ঢল নামবে দেশে।
উল্লেখ্য, বহু দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলা করছে শ্রীলঙ্কা। অনেক মাস ধরে সেখানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর ফলে দেশজুদের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা প্রেসিডেন্ট গোটাবাইয়া রাজাপাকসে ও তার পারিবারিক শাসনের কঠোর সমালোচনা করছেন। দাবি তুলেছেন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ। কিন্তু এ দাবি কিছুতেই মানবেন না প্রেসিডেন্ট। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কা মেডিকেল এসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, নিয়মিত অপারেশন ও গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা এরই মধ্যে কমিয়ে আনতে হয়েছে তাদের। যদি জরুরি ভিত্তিতে এসব সরবরাহ দেয়া না গয় তাহলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এমনকি কয়েক দিনের মধ্যে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। এর ফলে মৃত্যুর মিছিল নামতে পারে।
এ সপ্তাহে স্বাস্থ্যকর্মী সহ হাজার হাজার মানুষ সঙ্কট সমাধানের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেছে তারা। গত রোববার রাতে তার পুরো মন্ত্রিপরিষদ পদত্যাগ করেছে। মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন জোটের প্রায় ৪০ জন সদস্য বলেছেন, তারা আর জোটের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট দেবেন না। এর ফলে সরকার আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক সঙ্কট দেশটিকে গ্রাস করেছে। এখন সেখানে কার্যকর কোনো মন্ত্রীপরিষদ নেই। বিশেষ করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফাঁকা। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে আলি সাবরিকে নিয়োগ দেয়া হলেও ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে তিনিও পদত্যাগ করেছেন। কিভাবে সঙ্কট সমাধান করা যায়, তা নিয়ে তিন দিন বিতর্ক হয়েছে পার্লামেন্টে। কিন্তু সর্বসম্মত একটি মতে আসতে ব্যর্থ হয়েছে পার্লামেন্ট। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে অব্যাহতভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের ভাইও।