ইমরানের ভাগ্যনির্ধারণী অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটি, ১৪৪ ধারা জারি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ৩ এপ্রিল,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৫৮ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আজ রোববার দেশটির জাতীয় পরিষদের ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ইমরান খানের এ ভাগ্যনির্ধারণী অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশন ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কায় রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। খবর ট্রিবিউন এক্সপ্রেস ও জিও নিউজের।
জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি শরিক দল বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ক্ষমতাসীন দল। বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতার সংখ্যা বেড়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাব পাসে বিরোধীদের প্রয়োজন ১৭২ ভোট। তাদের প্রতি ১৯৯ আইনপ্রণেতার সমর্থন আছে বলে জিও নিউজের প্রতিবদেনে বলা হয়েছে।
ট্রিবিউন বলছে, কোণঠাসা হয়ে পড়া ইমরান খান এখনো আত্মপ্রত্যয়ী। শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে দেবেন বলে জোর দিয়ে বলছেন তিনি। দলীয় আইনপ্রণেতাদের অধিবেশনে যোগদান না করার আগের নির্দেশনা থেকে সরে এসেছেন তিনি। বিতর্কে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নিতে তিনি দলীয় আইনপ্রণেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রকাশ্যে আহ্বান জানানো এবং ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ নিয়ে সৃষ্ট ক্ষোভের মতো খুবই স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে ব্যাপক রাজনৈতিক বিভক্তি তৈরি হয়েছে, যা বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গাহাঙ্গামার কারণ হতে পারে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা আশঙ্কা করছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকেরা রেড জোনে ঢুকে পড়তে পারেন এবং পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করতে পারেন, যা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। রেড জোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিক্ষোভকারীদের প্রবেশে বাধা দিতে রাজধানীর প্রশাসন রেড জোনের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।
জিও নিউজ জানায়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। মোটরসাইকেলে একাধিক ব্যক্তির আরোহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কনটেইনার ও কাঁটাতার দিয়ে রেড জোন সিল করে দেওয়া হয়েছে। রেড জোনের ভেতরে এবং আশপাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ ছাড়া ইসলামাবাদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক নোটিশে রেড জোন এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের সব ধরনের জমায়েত, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার জাতীয় পরিষদের অধিবশনে দেওয়া বক্তৃতায় সমর্থকদের, বিশেষ করে তরুণদের ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর সরকারকে উৎখাতে ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন তিনি।
আজকের অধিবেশন ঘিরে বিরোধীদলীয় ও পিটিআইয়ের প্রায় দুই ডজন আইনপ্রণেতার পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ ঠেকাতে সরকার একটি কৌশল নিয়েছে বলে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কানাঘুষা চলছে। বর্তমানে সিন্ধু হাউস ও ম্যারিয়ট হোটেলে এই আইনপ্রণেতারা অবস্থান করছেন। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে প্রবেশে তাঁদের বাধা দিতে পারেন।
তবে বিরোধী দলের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য ডনকে বলেছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ‘প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা’ নিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এদিনে তাঁরা সংবিধান মেনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। তাঁদের সব আইনপ্রণেতা ‘পার্লামেন্ট ভবনের খুব কাছে’ রেড জোনে অবস্থান করছেন।