২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিচ্ছে ভারত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ২১ মার্চ,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৩৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৪ নারী ও শিশুকে ফেরত দিচ্ছে ভারত সরকার। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটের’ মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত পাঠাবে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবে জাস্টিস এন্ড কেয়ার, মহিলা আইনজীবী সমিতি ও রাইটস যশোর নামে ৩টি মানবাধিকার সংস্থা। পরবর্তীকালে আইনি সহয়তা দিয়ে নিজ নিজ পরিবারের কাছে এনজিও কর্মকর্তারা তাদেরকে সোপর্দ করবেন বলে জানা গেছে। ফেরত আসার তালিকায় থাকা বাংলাদেশিরা হলেন- নড়াইলের জলি খাতুন, আলাদিন শেখ ও রিপা খাতুন। খুলনার মনির হোসেন, সুমাইয়া আক্তার রিয়া ও ফাতেমা খাতুন। জয়পুরহাটের হাসান, লালমনির হাটের হৃদয় দাস। বাগেরহাটের মেহেদী হাসান, রাকিব তালুকদার, নুসরাত জাহান, পার্থ মন্ডল, বিউটি মন্ডল, হামিদা আক্তার ও সাদিয়া খাতুন। নোয়াখালীর তানিয়া আক্তার, শরীয়তপুরের শান্তা আক্তার, নরসিংদীর তাসলিমা আক্তার, ময়মনসিংসের পার্থ বিশ্বাস ও সুমাইয়া আক্তার, ঢাকার বিথী আক্তার, ফাতেমা খাতুন, নাঈম হোসেন ও নওসিন রহমান।
জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগ্রামার কর্মকর্তা এবিএম মুহিত জানান, সংসারে অভাব অনটনের কারণে ২ থেকে ৫ বছর আগে তারা ভালো কাজের আশায় দালালের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন সময় সীমান্ত পথে ভারতে যায়। পরে দালাল চক্র তাদের ভালো কাজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে বিভিন্ন অসামাজিক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করে। খবর পেয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পুলিশ মুম্বাই শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। সেখান থেকে ‘রেসকিউ ফাউন্ডেশন’ নামে ভারতের একটি এনজিও সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরবর্তীতে দু দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে এদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। পাচারের শিকার নারীরা যদি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তাহলে তাদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে, মানব পাচার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা যশোর রাইটসের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক জানান, পাচারের শিকার নারী, শিশুদের আইনি সহযোগিতা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমাজের প্রভাবশালী কিছু মানুষ পাচারকারীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করায় পাচার মামলা আলোর মুখ দেখছে না। এতে ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থাকছে পাচারকারীরা।