রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের প্রস্তাব ৭০০, বাংলাদেশ পাঠাতে চায় ১১০০
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০:১৪ পিএম, ১৫ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মিয়ানমারের সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটির জান্তা সরকার। প্রাথমিকভাবে ৭০০ রোহিঙ্গা নাগরিককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে ঢাকাকে একটি তালিকাও দিয়েছে তারা। ফলে যেকোনো সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা-নেপিদো। তবে বাংলাদেশ বলছে ১১০০ রোহিঙ্গাকে নিতে হবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মিয়ানমারের দেয়া ৭০০ জনের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, এতে অনেকের পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। তাই আমরা এভাবে পাঠাবো না। পরিবারভিত্তিক ১১শ জনকে একসঙ্গে নিতে হবে।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গারাও নিজ দেশে ফেরত যেতে রাজি হয়েছে। সব ঠিক থাকলে শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই শেষ করেছে মিয়ানমার। পর্যায়ক্রমে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো সম্ভব বলে আশা করছে বাংলাদেশ। এই প্রত্যাবাসন স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করেই সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রত্যাবাসনের পুরো প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘও যুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার পাশপাশি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বেশ কিছু কারণে দীর্ঘদিন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া পুরোপুরি থমকে ছিল। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি দুদেশের টেকনিক্যাল কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়। যার ফলে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটা অনেক দূর এগিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তবে মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থার অভাবের কারণে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে দু বার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়। সেখানে ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হবে বলে জানায় মিয়ানমার।