আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ : জেলেনস্কি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৫০ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রোববারের লড়াই খুবই কঠিন ছিল বলে জানালো ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রোববারের লড়াই ছিল সবচেয়ে কঠিন। আকাশ ও মাটিতে তাদের রাশিয়ার আক্রমণের মোকাবেলা করতে হয়েছে। আর মাটিতে চারদিক থেকে গোলা এসে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ছয়টি যুদ্ধবিমান একসাথে এসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। ইউক্রেনের সেনার দাবি, তারা রাশিয়ার একটি হেলিকপ্টার এবং একটি ড্রোন ধ্বংস করতে পেরেছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিয়েভে দ্বিতীয় দিনেও লড়াই হয়েছে। তবে তার তীব্রতা আগের দিনের থেকে কম ছিল। তবে খারকিভের লড়াই ছিল খুবই তীব্র। রাশিয়া সেখানে বিমান থেকে সমানে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান থেকে গোলা ছুঁড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, রাশিয়ার বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনের ভিতর ঢুকে পড়েছে। তবে ইউক্রেনের সেনাও তাদের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়াই করছে।
আলোচনায় সম্মতি
রাশিয়ার সাথে বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় রাজি হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়ার পরই ইউক্রেন আলোচনায় রাজি হয়। পুতিনের এই নির্দেশের অর্থ হলো, প্রয়োজন মনে করলে, রাশিয়া যেকোনো সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা।
জেলেনস্কির বক্তব্য
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ফোনে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনজুড়েই রাশিয়ার সেনার সাথে ইউক্রেনের বাহিনীর লড়াই চলছে।
জনসন জানিয়েছেন, জেলেনস্কি অসাধারণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই অবস্থায় যুক্তরাজ্যের পক্ষে যা করা সম্ভব তা করা হবে। যুক্তরাজ্য ও তার শরিক দেশগুলো থেকে ত্রাণসাহায্যও ইউক্রেন পৌঁছেছে।
ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান
ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেবেন। গোলাবারুদ তো দেবেনই তার সাথে যুদ্ধবিমানও দেয়া হবে। জার্মানিও ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র দিচ্ছে।
ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, তিনি চান ইউক্রেন ইইউ-তে যোগ দিক। একটি ফরাসি সংবাদ নেটওয়ার্ককে তিনি বলেছেন, ওরা আমাদেরই একজন। আমরা চাই, ওরা ইইউতে যোগ দিক।