ইউক্রেন ছাড়ছেন ১২টির বেশি দেশের নাগরিকেরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:১৯ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কিয়েভে রাশিয়ার হামলা ‘অবশ্যম্ভাবী’ বলে পশ্চিমা দেশগুলোর সতর্কতার পর নিজেদের নাগরিকদের নিরাপদে সরে যেতে বলছে বেশ কিছু দেশ। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ১২টির বেশি দেশ ইউক্রেন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অনেকে দূতাবাস কর্মীদেরও সরিয়ে নিচ্ছে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, যেকোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। বিমান হামলা দিয়ে এ অভিযান শুরু হতে পারে। তবে রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগকে ‘উসকানিমূলক গুঞ্জন’ বলে উল্লেখ করেছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে জরুরি কর্মী ছাড়া অন্যদের দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দূতাবাসের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লাভিভে ছোট পরিসরে কনস্যুলার সেবা দেওয়া হবে।
কানাডীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানায়, কানাডাও তাদের দূতাবাসের কর্মীদের পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী লাভিভ শহরে সরিয়ে নিচ্ছে। ইউক্রেনে নিয়োজিত ব্রিটিশ দূত মেলিন্ডা সিমন্স টুইটার পোস্টে বলেছেন, তিনি ও দূতাবাসের একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ দল’ কিয়েভে অবস্থান করবে।
রাশিয়া নিজেও ইউক্রেনের দূতাবাসে কিছু পরিবর্তন আনছে। কিয়েভ ও তৃতীয় পক্ষের সম্ভাব্য উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে দেশটি বলেছে, ইউক্রেনে নিয়োজিত কূটনীতিকদের ঢেলে সাজানো হবে।
দেশের বাইরে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন, এমন প্রায় ১৫০ মার্কিন সেনাকেও দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। নেদারল্যান্ডসের এয়ারলাইন কোম্পানি কেএলএমের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে ইউক্রেনে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ইতালি, ইসরায়েল, নেদারল্যান্ডস, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশ নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে। কেউ কেউ আবার কূটনৈতিক কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, হামলাসংক্রান্ত সতর্কতার কারণে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। আর একে ‘শত্রুদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেন, সম্ভাব্য রুশ হামলা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে প্রমাণ থাকলেও তিনি এ ব্যাপারে আরও নিশ্চিত তথ্য চান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, গভীর ও পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো অতিরিক্ত তথ্য প্রকাশ করছে। আমরা সব ঝুঁকির কথা বুঝতে পারছি। আমরা জানি, এ ঝুঁকিগুলো আছে। ইউক্রেনে রুশ ফেডারেশনের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে আপনাদের কিংবা অন্য কারও কাছে যদি আরও শতভাগ নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য থাকে, তাহলে দয়া করে আমাদের তা জানান।’