বন্ধের ক্ষেত্রে সবার শেষে, খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে স্কুল থাকা উচিত : ইউনিসেফ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ২৭ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
মহামারির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুলগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হলেও সরকার নতুন করে ২৩ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
সম্প্রতি ইউনিসেফ বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে সবার শেষে এবং খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে স্কুল থাকা উচিত বলেও মনে করে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসে এবং কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর দুই বছর পূর্ণ হওয়ার প্রাক্কালে ইউনিসেফ শিশুদের পড়াশোনার ওপর মহামারিটির প্রভাব সম্পর্কে প্রাপ্ত সর্বশেষ উপাত্ত তুলে ধরছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- স্কুল সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ থাকার কারণে (বিশ্বজুড়ে) ৬১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেছেন, “কোভিড-১৯ মোকাবিলার ক্ষেত্রে স্কুল বন্ধ করতে হলে তা অবশ্যই শেষ অবলম্বন হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে করতে হবে। সংক্রমণের ঢেউ সামাল দিতে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি তার মধ্যে প্রতিষ্ঠান বন্ধের ক্ষেত্রে সবার শেষে এবং খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে স্কুল থাকা উচিত।”
ওদিকে, ইউনিসেফের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান রবার্ট জেনকিন্স বলেছেন, “বৈশ্বিক শিক্ষা ব্যবস্থায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিঘ্নের দুই বছর পূর্ণ হবে আগামী মার্চে। খুব সহজভাবে বললে, আমরা শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রায় অপূরণীয় মাত্রার ক্ষতি প্রত্যক্ষ করছি। তবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার অবসান ঘটাতে হবে এবং শুধু স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়াই এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের নিবিড় সহায়তা প্রয়োজন। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য, সামাজিক বিকাশ এবং পুষ্টি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে স্কুলগুলোকে শুধু শেখানোর নির্ধারিত গণ্ডির বাইরেও যেতে হবে।”
শিশুরা গণনা ও স্বাক্ষরতার মৌলিক দক্ষতা হারিয়েছে উল্লেখ করে ইউনিসেফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বৈশ্বিকভাবে,পড়াশোনায় ব্যাঘাতের অর্থ হলো- লাখ লাখ শিশু শ্রেণিকক্ষে থাকলে যে একাডেমিক শিক্ষা অর্জন করতে পারতো তা থেকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বঞ্চিত হয়েছে, যেখানে ছোট ও আরও বেশি প্রান্তিক শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এর নেতিবাচক প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে।
স্কুল বন্ধ থাকায় তা পড়াশোনার ক্ষতির পাশাপাশি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছে, তাদের নিয়মিত পুষ্টি প্রাপ্তির উৎস কমিয়ে দিয়েছে এবং তাদের নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়েছে।