আলোচনার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি রাশিয়া ও ইউক্রেন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২৭ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:২৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আট ঘণ্টার বেশি আলোচনার পর গতকাল বুধবার অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। খবর এএফপির
প্যারিসে আলোচনায় মস্কো ও কিয়েভ এ বিষয়ে একমত হয়েছে, সব পক্ষের উচিত একটি অস্ত্রবিরতি পালন করা। রাশিয়া ও ইউক্রেনের অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্রান্সের এক কূটনীতিক। তিনি একে ‘ভালো সংকেত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে বিপুলসংখ্যক সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। এ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তেজনা চলছে।
কিয়েভ ও পশ্চিমারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলে, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে মস্কো। তবে মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। মস্কোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ইউক্রেনকে যেন ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করা না হয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর এক সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের হুমকি নিয়ে নয়, ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লড়াইয়ের মতো সমস্যার সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে প্যারিসে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।
মাখোঁর এই সহযোগী আরও বলেন, ‘কঠিন আলোচনায় শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক কিছু এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা ভালো একটি সংকেত পেয়েছি।’ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের বাহিনীর চলমান সংঘাতের বিষয়ে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম একটি যৌথ বিবৃতিতে সই করতে রাজি হলো রাশিয়া ও ইউক্রেন। ফ্রান্স ও জার্মানিও এই যৌথ বিবৃতির অংশ হচ্ছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। তারপর থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে লড়াই চলছে। ২০১৪ সাল থেকে ‘নরমান্ডি গ্রুপ’ নামে পরিচিত উল্লিখিত চারটি দেশ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক বাহিনী ও বিচ্ছিন্নবাদীদের মধ্যে লড়াই উসকে দিয়ে সেটাকে ব্যবহার করে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালানোর পাঁয়তারা করছে রাশিয়া। তবে রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।