সোনাইমুড়ীতে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান, আজ থেকে খনন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৩:০৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। যেখানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এ নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করবে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ খনন কাজ শুরু করবে বাপেক্স।
জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল ড্রিলিং রিগ বিজয় ১০ স্থাপন করেছে বাপেক্স। প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। দুই শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২০ দিন চলবে এ খনন কর্মযজ্ঞ।
কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত ২২ এপ্রিল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করা হবে সকাল ১১টায়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর চারটি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করতে আমাদের বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন- এ প্রতিপাদ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খনন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বাপেক্স বলছে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান ও ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার করে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রিগ (খনন যন্ত্র) ভারী যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত। এটির খণ্ড খণ্ড অংশ যানবাহনে করে কূপ খননের এলাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর এটি ক্রেন দিয়ে তুলে জোড়া লাগানো হয়। ‘রিগ মাস্ট’ অর্থ হচ্ছে রিগের সবচেয়ে ওপরের ভারী অংশ। এটি শোয়ানো অবস্থায় এনে পরে যেখানে কূপ খনন করা হবে, সেখানে সোজা করে দাঁড় করানো হয়।