

ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে দীর্ঘ চার কিলোমিটার যানজট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ১ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১২ এএম, ৮ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২৫

দীর্ঘ চার কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়েছে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকায়। টোল আদায়ে ধীরগতির কারণে ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যানবাহনগুলোর এ সারি তৈরি হয়। এছাড়া ভাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোরও এক কিলোমিটারের বেশি যানজট দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে এ টোল আদায় শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিনে বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় দেখা যায়, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গার বগাইল প্লাজার ১০টি টোল বুথের মধ্যে ৪টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। বাকি ৬টির মধ্যে ৩টিকে সক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সচল ৪টি টোল বুথের দুটির মাধ্যমে ঢাকাগামী যানবাহন থেকে এবং বাকি দুটির মাধ্যমে ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে। পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এই মহাসড়ক ব্যবহার করলে একটি বড় বাসকে দিতে হবে ২০০ টাকা, মিনিবাস ১১০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, প্রাইভেট কার ৫৫ টাকা, মোটরবাইক ১০ টাকা।
এ ছাড়া ট্রাকের ক্ষেত্রে ট্রেইলর ট্রাকের (সবচেয়ে বড় ট্রাক) টোল ধরা হয়েছে ৬৭৫ টাকা, ভারী ট্রাককে ৪৪০ টাকা ও মাঝারি আকারের ট্রাককে ২২০ টাকা দিতে হবে। ঢাকার উত্তরা থেকে মাদারীপুরগামী ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো. নূর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, উত্তরা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গার বগাইল পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টায় এসেছি। অথচ এখানে এসেই বসে আছি এক ঘণ্টার ওপরে। সেতু চালু হওয়ার পর ভাবলাম দ্রুত বাড়িতে যাব। সেই যানজট আর পিছু ছাড়ল না।
তিনি আরও বলেন, গাড়ির চাপ তো থাকবেই। তবে টোল আদায়ের গতি আরও বাড়ালে আমরা দ্রুত পার হতে পারতাম। ঢাকার বাড্ডা থেকে বরিশালগামী পণ্যবাহী বড় ট্রাকের চালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ১০টা টোল বুথের মাত্র চারটা চালু হয়েছে। বাকি ছয়টা বুথ বন্ধ। এ জন্য টোল আদায়ে জ্যাম লেগে গেছে। এই জ্যাম আস্তে আস্তে বাড়বে। কারণ, যতই বেলা বাড়ছে, ততই গাড়ির চাপ বাড়ছে।
টোল প্লাজার ডেপুটি ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে ১০টি বুথের মধ্যে চারটি সচল রয়েছে। এ ছাড়া শুক্রবার হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেশি। অল্পসংখ্যক টোল বুথ দিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত বাকি ছয়টি চালু করার। ওগুলো চালু করা সম্ভব হলে এই যানজট কমে যাবে।