বানিয়াচং ও শাল্লায় বজ্রপাতে নিহত ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ১৪ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৭ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৫
হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও সুনামগঞ্জের শাল্লায় মওসুমের প্রথম বজ্রপাতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে বানিয়াচংয়ে স্কুলছাত্রসহ ৩, শাল্লায় পিতা-পুত্র রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বজ্রপাতে তারা নিহত হন।
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ৩ জন নিহত হয়েছে। আজ সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, আলমগীর মিয়া (২৬), হোসাইন (১২) ও ঝুমা বেগম (১৩)।
জানা যায়, ১৪ই এপ্রিল সকালে বানিয়াচংয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় হাওরে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যায় হোসাইন (১২) নামের এক শিশু। সে ৩নং ইউনিয়নের তাতারী মমল্লার আক্কেল আলীর ছেলে। একই সময়ে বাড়ির আঙ্গিনায় থাকাবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান ঝুমা বেগম (১৩) নামে অপর এক শিশু।
সে ৩নং ইউনিয়নের জাতিকর্ণপাড়া বড় বান্দের আব্দুর রহমান এর মেয়ে। একই সময়ে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান ৮নং খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের সামছুল মিয়ার ছেলে কৃষক আলমগীর মিয়া (২৬)।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মলয় কুমার দাশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এদিকে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে এবার বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, মকবুল মিয়া (৪৫) ও তার ছেলে মাসুদ মিয়া (১২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে শাল্লা সদর উপজেলার নিজ বাড়ির পাশে হাওরে ধান কাটতে বের হন বাবা ও ছেলে। পরে হঠাৎ প্রচ- ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাওরে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।




