

মুরাদনগরে প্রার্থীতা বাছাইয়ে টাকা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ৮ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১৪ পিএম, ৭ জুলাই,সোমবার,২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার তিন ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার বিল্লাল মেহেদীর বিরুদ্ধে। তিনি বুথ ত্যাগ করে ব্যক্তিগত রুমে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন এসংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্র এসেছ গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে। ভিডিওতে দেখা গেছে গত বৃহস্পতিবার প্রার্থীতা যাচাই বাছাইয়ের সময় ৫০০-১০০০টাকা আদায় করছেন ওই কর্মকর্তা।
জানা যায়, ষষ্ঠ ধাপে ইউপি নির্বাচন ৩১ জানুয়ারী ভোট গ্রহণ হবে মুরাদনগর উপজেলায়। গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) ছিল প্রার্থীতা বাছাইয়ের দিন। উপজেলার ২১ ইউনিয়নের বিপরীতে সাতটি বুথ তৈরি করা হয় বাছাইয়ের জন্য। সেই সুবাধে বিল্লাল মেহেদী মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও বাঙ্গরা পশ্চিম এই তিন ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন।
সূত্রে জানাযায়, যাত্রাপুর, বাঙ্গরা পূর্ব ও বাঙ্গরা পশ্চিম এই তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা সংরক্ষিত আসনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৪৪ (একশ চুয়াল্লিশ) জন। বিল্লাল মেহেদী প্রার্থী ভেদে ৫শ থেকে ১হাজার টাকা করে উৎকোচ নিয়েছেন বলে জনান প্রার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন প্রার্থী বলেন, দরজা বন্ধ করে রিটার্নিং অফিসার বিল্লাল মেহেদী একজন একজন করে রুমে নিয়েছেন। সেখানে তিনি আমাদের কাছ থেকে টাকা চেয়েছেন, ঝামেলা এড়াতে আমরা তাকে টাকা দিয়ে চলে আসি।
এক মহিলা প্রার্থী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে তাকে রুম থেকে বের করে দেন ওই কর্মকর্তা। পরে ওই মহিলা তার ছেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার বিল্লাল মেহেদীর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকা নেওয়ার কোন প্রমাণ থাকলে আপনি আমাকে দেখাবেন। আমি হলরুমে সবার সামনে যাচাই-বাছাই করেছি। একথা বলেই ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।’
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মুঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’