

হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করার প্রয়োজন নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৮ এএম, ২৯ এপ্রিল,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:৫২ এএম, ২৮ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৫

শুধু শুধু হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করার প্রয়োজন নেই বন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, শুধু শুধু হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করার প্রয়োজন নেই। আজকে দেশে অতিরিক্ত গরম পড়ছে। তীব্র খরা চলছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এক বছরে গাছ লাগিয়ে সব ঠিক করে ফেলবেন। তা হলে এত বছর আপনারা কী করেছেন?
তিনি বলেন, আমাদের দেশের তরুণরা হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করছে। তিনি (হিট অফিসার) দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র এক বছর হয়েছে। এই এক বছরে তিনি কী করবেন? এগুলো ঠিক করতে হলে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে।
এ সময় নুরুল হক নুর আরও বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধনীতি করার কারণে বাংলাদেশে ওষুধশিল্প বিকশিত হয়েছে। এই ওষুধনীতি করার আগে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার রকমের ওষুধ আমদানি করা হতো। ওষুধনীতির ফলে এখন ৯৭-৯৮ শতাংশ ওষুধ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ওষুধ এখন বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এই ওষুধনীতি করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমআই) সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
নুর আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাটপাররা দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলছে, কিন্তু সাংবাদিকরা যাতে কোনো নিউজ করতে না পারে সেজন্য তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বাবলু বিশ্বাস, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন শেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সবাইকে করতে হবে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে শুনছি চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন। আসলে এটা সঠিক নয়। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনো চেয়ারও নেই। হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান (অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ দিয়েছে এবং ৭ জনই নারী।