

জেডআরএফ’র ২য় ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলায় বিজয়ী ৩ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৯ এএম, ৪ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৫৯ এএম, ৭ জুলাই,সোমবার,২০২৫

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার ‘ক’ গ্রুপের (৯ ঊর্ধ্ব থেকে ১৩ বছর) সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা শুরু হয় বিএনপি তথা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। এরপর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলেও এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছিল। ‘ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানীর খোঁজে’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলা শুরু হয় আরো কিছুদিন আগে।
গতকাল শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে শুরু হওয়া ‘ক’ গ্রুপের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হয় রাত সাড়ে দশটায়। জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং জেডআরএফ’র প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান। তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিজ্ঞান মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, সদস্য সচিব ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তৌফিক জোয়ার্দারের পরিচালনায় ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলায় বক্তব্য রাখেন প্রথম বিজ্ঞান মেলার আহ্বায়ক ড. মো. ইকবাল এবং সদস্য সচিব ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন।
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তিনটি গ্রুপের অসংখ্য প্রতিযোগী আয়োজকদের কাছে তাদের প্রজেক্ট জমা দেয়। ‘ক’ গ্রুপের বাছাইকৃত মোট ৭ জন প্রতিযোগী গতকাল শুক্রবার তাদের প্রজেকশন উপস্থাপন করেন। এরা হলেন- মানহা হাসান নাওয়াফ, সারা মেহজাবিন রেদা, ইমাম হাসান চৌধুরী, শাহ শরিফ জায়ান, জায়ান মোহাম্মদ হামযা, ইয়াকসির হোসেইন এবং ফাইজুল ইসলাম সোয়াদ। তন্মধ্যে তিনজনকে চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ‘ক’ গ্রুপে প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে জায়ান মোহাম্মদ হামযা, দ্বিতীয় হয়েছে ইয়াকসির হোসেইন এবং তৃতীয় হয়েছে ফাইজুল ইসলাম সোয়াদ। তবে ৭ জন প্রতিযোগীকেই পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের আজ বিবাহ বার্ষিকী থাকায় দিনটি তারা শিশুদের জন্য উৎসর্গ করেন।
এবারের বিজ্ঞান মেলার বিচারক ছিলেন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, ড. মো. নুরুল আমিন, অধ্যাপক ড. মাসুদা হাবিব ও অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা।
আরো অংশগ্রহণ করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ অসীম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, জেডআরএফ’র অধ্যাপক ডা, শফিকুল হায়দার চৌধুরী পারভেজ, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেসানী, ড. সোহাগ আউয়াল, ড. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারেস সিমকী, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, অধ্যাপক নাজমুস সাদাত, অধ্যাপক মতিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার, অধ্যাপক তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. আবু জাফর, অধ্যাপক মেসবাহ, অধ্যাপক ইদ্রিস, অধ্যাপক আনিসুর রহমান, ড. খায়রুল ইসলাম রুবেল, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল, ডা. আবুল হাসান কেনান, প্রকৌশলী ড. মো. ইকবাল, এসএম আশরাফ রেজা ফরিদী, একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, মাসুদুর রহমান রাজীব, মাহবুব আলম, রাকিবুল হাসান চৌধুরী, উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, আসিফ হোসেন রচি, গোলাম রহমান রাজিব, রাকিবুল ইসলাম রাজিব, অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, ড. জিকে মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক ড. আহসানুল হক রোকন, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, ড. জাহাঙ্গীর সরকার, ড. মামুন অর রশিদ, ড. মুনির হোসেন, ড. জসিম উদ্দিন, ড. সারোয়ার জাহান, কৃষিবিদ আব্দুর রহমান নূরী, কৃষিবিদ সানোয়ার আলম, প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেত্রী মানসুরা আলমসহ আড়াইশতাধিক শিক্ষক, প্রকৌশলী ও বিএনপির নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা যেভাবে মেধার বিকাশ ঘটিয়েছে তা অভাবনীয়। এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজন করার জন্য জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, আজকে দেশের বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাও শহীদ জিয়ার হাত ধরে শুরু হয়। এছাড়াও দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার শাসনামলেই প্রতিষ্ঠিত হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিজ্ঞান মেলার আহ্বায়ক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন সম্পূর্ণ আধুনিক ও বিজ্ঞান মনস্ক একজন ব্যক্তি। যিনি ১৯৭৬-৭৯ পর্যন্ত তার স্বপ্ন পূরণে কাজ করেছেন। তিনিই প্রথম দেশে জাতীয় বিজ্ঞান সপ্তাহ চালু করেন। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে। সুতরাং তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানের দিকে আকৃষ্ট করতেই জেডআরএফের এই ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, বিজ্ঞান কখনো থেমে থাকেনি। আজকে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এ ধরনের বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছে এটা অত্যন্ত সময়োপযোগী। এ ধরনের বিজ্ঞান মেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে আমরা মূলত বিজ্ঞানের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে চাই। এটাই আসল উদ্দেশ্য। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের জন্য আরো নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।