

এই সরকারের আমলে কোনো ধর্মের লোক নিরাপদ নয় : আলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪২ পিএম, ২৬ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৫২ পিএম, ৫ জুলাই,শনিবার,২০২৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আওয়ামী লী মুখে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলে। কিন্তু এই সরকারের আমলে কোনো ধর্মের লোক নিরাপদ নয়। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ঢাকার তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা হয়েছে, তার বিচার এই সরকার করতে পারেনি। তেমনি গাইবান্ধায় সাওতালদের উপর অমানুষিক হামলা হয়েছে তারও বিচার হয়নি। রামু বৌদ্ধ বিহারে হামলা, অগ্নি সংযোগ হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর নির্যাতন হয়েছে। এসব কোনো ঘটনার বিচার এই সরকার করতে পারেনি। এরা সাময়িক সুবিধা নেওয়ার জন্য মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে।
তিনি বলেন, হাজী সেলিম, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, জিকে শামীমরা জামিন পায়, মোফাজ্জেল হোসেন মায়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েও কারাগারে যায় না। অথচ বরেণ্য আলেমরা আজ বছরের পর বছর কারাগারে বিনা বিচারে আটক রয়েছে। তাই সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়ার হাতে গড় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা আজ বছরের পর বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে। তারা রাজপথে অতন্দ্র পাহারায় আছে। তারা আওয়ামী লীগ ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশে আর কোনো সাজানো-পাতানো নির্বাচন হতে দেবে না। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা মার খেতে খেতে আপনাদের শক্তি ক্ষয় করছি। আপনাদের শক্তি যেদিন শেষ হয়ে যাবে সেদিন এদেশের জনগণ রুখে দাঁড়াবে এবং তার সমুচিত জবাব দেবে।
বিএনপি কখনও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। এজন্য বিএনপি চায় শেখ হাসিনা আজীবন বেঁচে থাকুন। তিনি পরবর্তীতে দেখতে পারবেন কার শাসন আমল কেমন ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেহুলার বাসর ঘরে ছিদ্র করে সাপ ঢুকতে পারে, আবার শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই এবং বলতে চাই আওয়ামী লীগের মধ্যে কারা কারা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এসব কিসের আলামত? এজন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এসব রহস্য উদঘাটন করে বিচারের ব্যবস্থা ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার অনুসারীরা শহীদ জিয়াকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। কারণ তারা গল্প শোনার মুক্তিযোদ্ধা। আর শহীদ জিয়া ছিলেন রণাঙ্গনের সরাসরি মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি ফলবান বৃক্ষ। যেকারণে তারা ঢিল মারে। নেড়া গাছে কেউ ঢিল মারে না। শহীদ জিয়াকে চিনতে হলে বাংলাদেশকে বুঝতে হবে। শহীদ জিয়া এদেশের খন্ডিত জাতি স্বত্তার পরিবর্তে একটি আত্মপরিচয় সম্পন্ন বাংলাদেশেী জাতীয়তাবাদের পরিচয় দিতে পেরেছেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বৃহস্পতিবার খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে মহানগর যুবদল আয়োজিত শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৮৭তম জন্মবাষিৃকী উপলেক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুনায়েম মুন্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপিত মনিরুজ্জামান মন্টু। মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরের সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন স্বেচ্ছাসেবকদলের মহানগর সভাপতি একরামুল হক হেলাল, বিএনপি নেতা চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগটনের নেতৃবৃন্দ। সভায় সদ্য কারামুক্ত হওয়া তৃণমূল নেতাদের ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এছাড়া শহীদ জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।