

আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে বাদ পড়লেন যারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৬ পিএম, ৭ জুলাই,সোমবার,২০২৫

বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন নেই আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে। তবে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য থেকে বাদ পড়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ ও আবদুল মান্নান খান। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সভাপতিমন্ডলীতে পদ আছে ১৯টি। আগে থেকেই একটি পদ ফাঁকা ছিল। এবার দুজন বাদ পড়লেন। এ কারণে তিনটি পদ ফাঁকা হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে নতুন করে সভাপতিমন্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি দুটি ফাঁকা পদ পূরণ করা হবে। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর পদের সংখ্যা ৩৪। এর মধ্যে শ্রমবিষয়ক এবং যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক বাদ পড়েছেন। এ দুই পদে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ২০০৯ সাল থেকেই আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন হাবিবুর রহমান সিরাজ। এক যুগেরও বেশি সময় পর এবার তিনি বাদ পড়লেন। আর যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদ। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন শফিক।
অন্যদিকে, সুজিত রায় নন্দীর পদে এবার জায়গা পেয়েছেন উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। উপ-প্রচার সম্পাদকের পদটি ফাঁকা আছে। সব মিলিয়ে সম্পাদকমন্ডলীর তিনটি পদ ফাঁকা আছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে কোনো পরিবর্তন নেই। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শুধু একটিই পরিবর্তন। আর ২৮ সদস্যের নির্বাহী সদস্যের কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। নবনির্বাচিত সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, দলের সভাপতিমন্ডলীর বৈঠকের পর নির্বাহী সদস্যদের পদ পূরণ করা হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মোট পদের সংখ্যা ৮১।
আজ শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী পর্বে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আগের কমিটির কেউ বাদ যাননি। প্রয়াত উপদেষ্টাদের স্থলে কাউকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। পরে বেলা তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বসে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন পর্ব। কাউন্সিলরদের সমর্থন নিয়ে প্রথমে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়ে টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা। আর টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে এলেন ওবায়দুল কাদের। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার তারা দুজন অধিবেশনের মঞ্চে আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।