

বাগেরহাট জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৭ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ২৭ জুন,শুক্রবার,২০২৫

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়কের বাড়ি এবং শহরের সরুই এলাকার দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়ে ওই ভাঙচুর করেছে বলে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন অভিযোগ করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে আকরাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে আমার চাচাতো ভাই আলী রেজা আহমেদের স্ত্রী মারা গেছেন। আমরা তাঁর দাফন-কাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা–কর্মী মোটরসাইকেলে এসে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় মৃত্যুর খবর শুনে বাসার সামনে আসা স্বজন ও প্রতিবেশীদের ধাওয়া করেন তাঁরা। তাঁদের বসার জন্য আনা চেয়ার ও বাড়ির ভেতর ঢুকে কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়।’
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন বলেন, ‘তাঁদের আমরা যতই বলি, এখানে একজন মানুষ মারা গেছেন, এর জন্য লোকজন এসেছেন; ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা সেসব কথা কানে নেননি। সবকিছু ভেঙে চলে গেছেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, আজ সারা দেশে বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সকাল থেকে জেলা বিএনপির অফিস পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। দলীয় কোনো নেতা–কর্মী ভেতরে ঢুকতে পারেননি। সেখানে মিছিল করার প্রস্তুতিকালে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে বলে তিনি দাবি করেন। যুবলীগ, ছাত্রলীগ রামদা, হকিস্টিকসহ অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শতাধিক মোটরসাইকেলে করে সারা শহরে ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা বাগেরহাট জেলা বিএনপি গণমিছিলের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু কাল রাত থেকে আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হানা দেওয়া হচ্ছে। সকালে বিএনপি অফিসে এসে আমাদের কার্যালয়ের দরজা–জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার বাসভবনে এসেও হামলা–ভাঙচুরের চেষ্টা করে ছাত্রলীগ–যুবলীগ।’ তিনি দাবি করেন, জেলায় তাদের ১৮ থেকে ২০ নেতা–কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনের মুঠোফোনে কল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি। বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত হোসেনকে কল করলে তিনিও রিসিভ করেননি।
বাগেরহাট সদর থানা কাউকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
হামলা–ভাঙচুরের বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’