

বিদ্যুৎ খাতে চুরি, দূর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনার কারণে জনগণকে শাস্তি পেতে হচ্ছে : সাইফুল হক
শরিফুল হাসান, দিনকাল
প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ১৯ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৭ পিএম, ১৮ আগস্ট,সোমবার,২০২৫

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতে সীমাহীন চুরি, দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জন্য এখন দেশের জনগণকে শাস্তি পেতে হতে হচ্ছে। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, বিদ্যুৎ খাতে যথেচ্ছ লুটপাট ও সরকারের একের পর এক ভূল সিদ্ধান্তের জন্য দেশের জনগণকে কেন ভুগতে হবে! তিনি বলেন দেশে বিদ্যুৎ এর বিদ্যমান সংকট সরকারের অদূরদর্শীতার পরিনাম। সরকারের বাহাদুরি নেবার ফাঁকাবুলি বিদ্যুৎ সংকটকে ঘনীভূত করেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে পার্টির ঢাকায় অবস্থানরত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সভায় সভাপতি হিসাবে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, এতদিন ধরে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা বলে আসছিলেন যে, লোডশেডিংকে তারা যাদুঘরে পাঠিয়েছেন এবং প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ রয়েছে।সেটা সত্য হলে এখন বিদ্যুৎ এর এত ঘাটতি হবার কথা নয়।
তিনি বলেন, কুইক রেন্টাল প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় অর্থের বিশাল অপচয়,স্পট মার্কেট থেকে বাড়তি দামে বিদ্যুৎ ক্রয়, আমদানি নির্ভরতা,বিরাট সিস্টেম লসসহ সরকারের ভুলনীতি ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ বিদ্যুৎ সংকট তীব্র করেছে।
তিনি বলেন, লোডশেডিং বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান করে জাতীয় অর্থনীতি ও জনজীবনে দূর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে। তিনি একইসাথে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার জন্যেও সমাজের বিত্তবান প্রতি আহবান জানান।
সভায় ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গণবিরোধী এই তৎপরতা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান,আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, মাহমুদ হোসেন,মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সজীব সরকার রতন,ফিরোজ আহমেদ, কামরুজ্জামান ফিরোজ প্রমুখ।