

পানির নিছে চট্টগ্রাম : তলিয়ে গেছে দোকান, বাসা বাড়ী, স্কুল কলেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৭ পিএম, ২০ জুন,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০১ এএম, ৫ জুলাই,শনিবার,২০২৫

পানির নিছে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ জেলার অধিকাংশ এলাকা। ডুবে গেছে বাড়ী ঘর,দোকান পাঠ, স্কুল কলেজ। রবিবার রাতে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় নিছু এলাকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন কখন পানি এসে ডুবে যায় ঘরের মালামালটিক হয়েছেও তাই। পানি ডুকে গেছে নিছ তলার ঘরে। দুর্ভোগের শেষ ছিলনা সারারাত নগরবাসীর। দুই দিন থেকে পানির নিছে সিটি মেয়রের বাসভবন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চার বছর আগে অর্থাৎ বিগত ২০১৯ সাল বা ১৪২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখেই ‘শ্রাবণের উপস্থিতি’ আগাম বর্ষার একধরণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সেই বছর মধ্য বৈশাখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, তা বিগত সাড়ে তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে, আষাঢ়-শ্রাবণকেই বর্ষাকাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষার রেশ থেকে যায়। অর্থাৎ জুনের শেষ থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্তই বর্ষা মৌসুম ধরা হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রবিবার রাতে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার থেকে মুরাদপুর এলাকা পর্যন্ত সারি সারি গাড়ি আটকা পড়েছে। এ জটে আটকা পড়েছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও। দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকার সড়কে হাঁটু পানি জমার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই সিএনজি বা গণপরিবহন থেকে নেমে হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। খুলশী এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন আমিন হোসেন।
তিনি জানান, অফিস শেষ করে সিএনজি নিয়ে বহদ্দারহাটে আমার বাসায় যাচ্ছিলাম। সিএনজি ফ্লাইওভারের উপর উঠতেই যানজটে পড়ে। নিচেও জ্যাম, ফ্লাইওভারের উপরও জ্যাম। তাই সিএনজি থেকে নেমে এখন হেঁটে বাসায় যাচ্ছি।
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভাবে আটকে থাকা কাভার্ড ভ্যান চালক মো. আলিম বলেন, মুরাদপুরে হাঁটুপানি জইমা আছে শুইনা ফ্লাইওভারে উঠছিলাম। কিন্ত এক ঘণ্টা ধইরা ফ্লাইওভারে যানজটে আটকাইয়া আছি। কখন যাইতে পারবো বুঝতে পারতাছি না।
এদিকে জলজটের কারণে সড়কের মাঝখানে ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অনেক গাড়ি। রিকশা ও রিকশাভ্যানে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হয় যাত্রীদের। খানাখন্দ আর নালায় পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক নিয়ে পথ পাড়ি দেন পথচারীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সরকার জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে এখনো মুক্ত হতে পারছে না বাণিজ্যিক রাজধানী। খালের মুখে বাঁধ, নালা ও খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ না করার অভিযোগও তাদের। যথারীতি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পুরোনো ভবনের নিচতলায় ছিল হাঁটুপানি। এতে দুর্ভোগ পোহান রোগী, স্বজন ও চিকিৎসক-সেবিকারা।
রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি। যেখানে আগে হাঁটু পানি উঠতো সেখানে এখন কোমর সমান পানি। বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়েছে। দুই নম্বর গেট দিয়ে গাড়ি চলছে এক কোমরের ওপরে পানি মাড়িয়ে। এছাড়া মুরাদপুর ও চকবাজারে সেই পুরোনো দৃশ্যই দেখা গেছে। কোমর সমান পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। বৃষ্টির কারণে ড্রেনগুলোতে পানির স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আর্বজনা জমে থাকায় পানি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় জমে আছে পানি।বার থেকেই চট্টগ্রামে চলছে প্রবল বর্ষণ। বৃষ্টির থামাথামি নেই। বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলজটে তলিয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। নিম্নাঞ্চল উচ্চাঞ্চল কোনোটাই বাকি নেই। বিশেষ করে দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকার সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে থাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফ্লাইওভারের উপরেও আটকা পড়েছে শত শত গাড়ি। ফলে বিভিন্ন রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ফেরত মানুষ ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স। যানবাহন না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যে। তিন দিনের ভারী বর্ষণে নগরীর চকবাজার, অক্সিজেন, পাঁচলাইশ রোড, শোলকবহর, বাদুরতলা, মেহেদীবাগ, আগ্রাবাদ, রাহাত্তারপুল, খাতুনগঞ্জ, রহমতগঞ্জ, হালিশহর ও নয়াবাজার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সকালেও অফিস ও গার্মেন্টসমুখী কর্মীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলেও কমেনি বৃষ্টি। ফলে দিনভর ভারী বর্ষণে সড়কে জমে থাকা হাঁটুপানিতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
এদিকে আষাঢ়ের শুরুতেই গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত থাকা টানা ভারী বর্ষণের মধ্যে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী চব্বিশ ঘণ্টায় মহানগরীতে দেশের সর্বোচ্চ একশ’ ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি বর্ষা মৌসুমে এখন পর্যন্ত নগরীতে এটাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আষাঢ়ের বৃষ্টিপাতের চলমান ধারা দুয়েকদিনের মধ্যে ধরে আসার আভাস মিলেছে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশজুড়ে সক্রিয় রয়েছে। যার প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে একটানা মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। চলতি মাসের শেষ কিংবা জুলাইয়ের শুরুতে ফের বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, চার বছর আগে অর্থাৎ বিগত ২০১৯ সাল বা ১৪২৫ বঙ্গাব্দের বৈশাখেই ‘শ্রাবণের উপস্থিতি’ আগাম বর্ষার একধরণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সেই বছর মধ্য বৈশাখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, তা বিগত সাড়ে তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে, আষাঢ়-শ্রাবণকেই বর্ষাকাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বর্ষার রেশ থেকে যায়। অর্থাৎ জুনের শেষ থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্তই বর্ষা মৌসুম ধরা হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রোববার রাত ১২ টায় বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার থেকে মুরাদপুর এলাকা পর্যন্ত সারি সারি গাড়ি আটকা পড়েছে। এ জটে আটকা পড়েছে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও। দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকার সড়কে হাঁটু পানি জমার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকেই সিএনজি বা গণপরিবহন থেকে নেমে হেঁটেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। খুলশী এলাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন আমিন হোসেন। তিনি জানান, অফিস শেষ করে সিএনজি নিয়ে বহদ্দারহাটে আমার বাসায় যাচ্ছিলাম। সিএনজি ফ্লাইওভারের উপর উঠতেই যানজটে পড়ে। নিচেও জ্যাম, ফ্লাইওভারের উপরও জ্যাম। তাই সিএনজি থেকে নেমে এখন হেঁটে বাসায় যাচ্ছি।
বহদ্দারহাট ফ্লাইওভাবে আটকে থাকা কাভার্ড ভ্যান চালক মো. আলিম বলেন, মুরাদপুরে হাঁটুপানি জইমা আছে শুইনা ফ্লাইওভারে উঠছিলাম। কিন্ত এক ঘণ্টা ধইরা ফ্লাইওভারে যানজটে আটকাইয়া আছি। কখন যাইতে পারবো বুঝতে পারতাছি না।
এদিকে জলজটের কারণে সড়কের মাঝখানে ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অনেক গাড়ি। রিকশা ও রিকশাভ্যানে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হয় যাত্রীদের। খানাখন্দ আর নালায় পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক নিয়ে পথ পাড়ি দেন পথচারীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সরকার জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে এখনো মুক্ত হতে পারছে না বাণিজ্যিক রাজধানী। খালের মুখে বাঁধ, নালা ও খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ না করার অভিযোগও তাদের। যথারীতি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পুরোনো ভবনের নিচতলায় ছিল হাঁটুপানি। এতে দুর্ভোগ পোহান রোগী, স্বজন ও চিকিৎসক-সেবিকারা।
রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, চারদিকে থৈ থৈ করছে পানি। যেখানে আগে হাঁটু পানি উঠতো সেখানে এখন কোমর সমান পানি। চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকায় বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়েছে। দুই নম্বর গেট দিয়ে গাড়ি চলছে এক কোমরের ওপরে পানি মাড়িয়ে। এছাড়া মুরাদপুর ও চকবাজারে সেই পুরোনো দৃশ্যই দেখা গেছে। কোমর সমান পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। বৃষ্টির কারণে ড্রেনগুলোতে পানির স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। নালা-নর্দমায় পলিথিন ও আর্বজনা জমে থাকায় পানি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় জমে আছে পানি।গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা পানির নিছে তলিয়ে গেছে।বিশেষ করে গ্রামের সব রাস্তায় এখন পানির নিছে।পুকুরে পানি ডুকায় শত শত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি সদরের বড়দীঘির পাড় এলাকায় কোমর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
চট্টগ্রাম নগরী সহ জেলার অধিকাংশ স্কুল কলেজে পনি ডুকে পড়ায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে।এছাড়াও যে সব স্কুল কলেজ খোলা রয়েছে ঐ খানে ছাত্র -ছাত্রী ছিলনা বললেই চলে।নগরীর অলিতে-গলিতে পানি থাকায় কেউ বের হতে পারছেন না। চাকুরীজীবী রাও পানির কারণ কর্মস্থলে যেতে পারে নাই। যারা রাস্তায় বের হয়েছেন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য তারা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
রাতের বেলায় নগরীসহ জেলার বিভিন্নস্থানে পানি বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ দোকানপাট এর মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম নগরী সহ জেলা এখন পানিতে ভাসছে।