

"মাদার অব ডেমোক্রেসি" এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে খালেদা জিয়াকে এশিয়া-প্যাসিফিক ও মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির অভিনন্দন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৪ এএম, ২১ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়াকে 'মাদার অব ডেমোক্রেসি' ও 'ডেমোক্রেসি হিরো' পুরস্কারে ভূষিত করায় তাকে এবং কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্য বিএনপি। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডক্টর শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল ও মধ্যপ্রাচ্য বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক সৌদিআরব বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আহমেদ আলী মুকিব।
আজ বৃহস্পতিবার এক অভিনন্দন বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সারাজীবন দেশ ও জনগণের পক্ষে কাজ করে চলেছেন। তাঁর নিঃস্বার্থ ত্যাগ, সীমাহীন বিসর্জন ও বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে সারাবিশ্বের নজর কেড়েছেন। দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়ে বিশেষত দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুসংহত করতে গিয়ে জালিমের কারাবন্দী হয়েছেন। এমনকি গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁর এই স্বার্থহীন আত্মত্যাগের প্রশংসা দেশ পেরিয়ে দেশান্তরেও ছড়িয়ে পড়েছে। এমনই এক স্বীকৃতি-'মাদার অব ডেমোক্রেসি' ও 'ডেমোক্রেসি হিরো' পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। তাকে সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। যা অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। আমরা প্রত্যাশা করি এই পুরস্কার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরো অনুপ্রেরণা যোগাবে।
এই পুরস্কার প্রদানের জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন নেতৃদ্বয়। সেইসাথে কানাডিয়ান মানবাধিকার সংস্থা সিএইচআরআইও'র উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন তারা। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর অকাল প্রয়ানের পর ভুলুণ্ঠিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর রাজপথের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করেন। ১৯৯১ সালে সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জয়লাভ করে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন এবং বাংলাদেশের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দেশবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের ফলে ১/১১ নামে কুখ্যাত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা সহ সকল অধিকার সংকুচিত করে। বর্তমান সরকারও তার ধারাবাহিকতায় আরো কর্তৃত্ববাদী আচরণের মাধ্যমে দেশকে গণতন্ত্রহীনতায় নিয়ে গেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার তথা সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আপোষহীনভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।
এদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজু বেলজিয়াম বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলম হোসেন।