

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে আ'লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ১ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১৫ এএম, ২০ আগস্ট,
বুধবার,২০২৫

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ব্যবসায়ী রুবেল আহমেদকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ তাঁদের সখীপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলের কালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান (৩০) ও তাঁর বাবা লাল মিয়া (৫৫)। আজ শনিবার তাঁদের টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে উপজেলার আড়াইপাড়া গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে রুবেল আহমেদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওইদিন সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তির ভাই রাসেল আহমেদ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ আটজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
নিহত রুবেল আড়াইপাড়া গ্রামের হাজিবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি সখীপুর বাজারে একটি কাপড়ের দোকান চালাতেন। রুবেল গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা লুৎফরের চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুবেলের বাড়ির পাশের একটি জমি লুৎফরের বাবা লাল মিয়া পাশের গ্রামের মোন্তাজ আলীর কাছে বিক্রি করেন। ওই জমিতে মোন্তাজ আলী ঘর তুলতে গেলে রুবেল ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে গ্রামে কয়েক দফা সালিস-বিচারও হয়েছে। গতকাল ওই জমিতে মোন্তাজ আলী পুনরায় ঘর তুলতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে রুবেল অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তাঁর স্বজনেরা বেলা দুইটার দিকে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বাড়ির পাশেই ওই জমি। আমরাই ওই জমি কিনতে চেয়েছি। কিন্তু লুৎফর ক্ষমতার দাপটে ওই জমি পাশের গ্রামের মোন্তাজ আলীর কাছে বিক্রি করেছেন। এ নিয়ে ঝগড়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভাইকে আমাদের সামনেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।’
জানতে চাইলে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন বলেন, লুৎফর রহমানকে সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবং তাঁর বাবা লাল মিয়াকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, মামলার প্রধান আসামি মোন্তাজ আলীসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।