

কাবুলের মসজিদে শক্তিশালী বিস্ফোরণে ৬৬ জন মুসল্লি নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫৯ এএম, ৭ জুলাই,সোমবার,২০২৫

আফগানিস্তানের কাবুলে একটি মসজিদে জুমার নামাজের পর শক্তিশালী বিস্ফোরণে ৬৬ জন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যখন সুন্নি মসজিদে মুসল্লিরা জুমার নামাজের পরে জিকরে লিপ্ত ছিলেন, তখনই ঘটনাটি ঘটে। খবরহাব।
মসজিদের প্রধান সাঈদ ফাজিল আগা জানান, তারা মনে করছেন, আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। একটি সূত্র জানিয়েছে, হাসপাতালগুলো এখন পর্যন্ত ৬৬ জন মৃতদেহ এবং ৭৮ জন আহত ব্যক্তিকে পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র বিসমিল্লাহ হাবিব জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বেলা দুইটার দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের মতে, তারা বিস্ফোরণের পরে অ্যাম্বুলেন্সে হতাহতদের নিয়ে যেতে দেখেছেন। কাছাকাছি একটি হাসপাতালের এক নার্স ইঙ্গিত দিয়েছেন, তারা গুরুতর অবস্থায় বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে পেয়েছেন।
গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে কয়েক ডজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আইএস-কে হামলাগুলোর কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে। গতবছরের আগস্টে আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার পর থেকেই পুরো জনপদ অশান্ত হয়ে ওঠে। যেখানে-সেখানে হামলা শুরু করে তালেবানের একসময়ের প্রধান শত্রু আইএস।
যদিও তালেবান পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে, তবুও হামলা থেমে থাকেনি। আইএসকে হল আফগানিস্তানভিত্তিক ইসলামিক স্টেট গ্রুপ, যেটি এখন সর্বশেষ সিরিয়াকেন্দ্রীক কোনোরকমে টিকে আছে। আবু বকর আল বাগদাদির নেতৃত্বে আইএস বিশাল অঞ্চল দখল করে রাষ্ট্র কায়েমের ঘোষণা দেয়। ইরাক, সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল তাদের দখলে ছিল।
আইএসের পতন হলেও তাদের ছিটেফোটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। সশস্ত্র গ্রুপটি প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক হামলা অব্যাহত রেখেছে। আফগানিস্তান ঘিরে আইএসকে তাদের তৎপরতা তালেবান সরকারের সময় হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়। এক সময় মনে হচ্ছিল, আইএসকের যোদ্ধাদের ট্যাকেল দেওয়ায় তালেবানের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরবর্তীতে অবশ্য শক্ত হাতে তাদের দমন করে তালেবান।