

মরক্কো উপকূলে নৌকাডুবি, ৪৩ অভিবাসী নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:২১ এএম, ৭ জুলাই,সোমবার,২০২৫

উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোর উপকূলে অভিবাসীবোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪৩ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন শিশু। মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলীয় তারফায়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই ওই নৌকাটি ডুবে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা স্প্যানিশ মানবাধিকার সংস্থা ক্যামিনাডো ফ্রন্টিরাস’র বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
স্প্যানিশ এই সংস্থাটি ওয়াকিং বর্ডারস নামেও পরিচিত। এছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা থেকে ১০ অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলেও সংস্থাটির মুখপাত্র সোমবার জানিয়েছেন।
এএফপি বলছে, স্থানীয় সময় রোববার ভোরে অভিবাসীবোঝাই ওই নৌকাটি মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলীয় তারফায়া উপকূলে ডুবে যাওয়ার পর সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন জীবিতরা। পরে দুই ঘণ্টা পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
ক্যামিনাডো ফ্রন্টিরাস জানিয়েছে, ‘দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা ঠিক কোথায় অবস্থান করছে সেটি চিহ্নিত করতে এবং উদ্ধার কাজ চালাতে মরোক্কান কর্তৃপক্ষের কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। প্রাণ হারানো ৪৩ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।’
অভিবাসীরা নৌকায় করে স্পেনের ক্যানারে দ্বীপপুঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলীয় তারফায়া উপকূল থেকে দ্বীপপুঞ্জটি ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) দূরে অবস্থিত। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউরোপে প্রবেশের ট্রানজিট রুট হিসেবে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি অভিবাসীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মানবাধিকার সংস্থা ক্যামিনাডো ফ্রন্টিরাস’র তথ্য অনুযায়ী, অবৈধভাবে ইউরোপের দেশ স্পেনে প্রবেশের চেষ্টায় কেবল ২০২১ সালে ৪ হাজারেরও বেশি অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছেন বা সাগরে হারিয়ে গেছেন। যা ২০২০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ।
সাগরে মারা যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া এসব অভিবাসীর অধিকাংশেরই মরদেহ আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।