

দেশে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল রিজার্ভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:২৭ এএম, ১৯ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৫

ডলারের ওপর চাপ কমাতে আমদানিতে কড়াকড়ি, কৃচ্ছ্রসাধন, প্রবাসী ও রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কিন্তু ডলারের রিজার্ভ বাড়ছে না, বরং কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে। এর ধারাবাহিকতায় ডলারে রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন থেকে কমে ৩৬.৯৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত সোমবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৭.০৮ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেশগুলোর জুলাই-আগস্টের পাওনা ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়। তখন রিজার্ভ ৩৭.১৩ বিলিয়নে নেমে আসে, তার আগে ডলার ৩৯ বিলিয়নের ঘরে ছিল। অন্যদিকে ২০২১ সালের ২৫ আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮.৬০ বিলিয়ন ডলার। সেই প্রেক্ষাপটে গত এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ১১.৬৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো দেশের তিন মাসের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকলে তা আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। তবে আমাদের বর্তমান যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে পাঁচ মাসের বেশি আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব। সরকার আমদানিতে কড়াকড়ি ও কৃচ্ছ্রসাধন নীতি ঘোষণা করছে। এতে আমদানি কমতে শুরু করেছে। তা ছাড়া রফতানি আয়ও বাড়ছে। সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বেড়েছে, জনসংখ্যা রফতানিও বেড়েছে। সামনে রেমিট্যান্স আয়ও বাড়বে। রিজার্ভ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।