

ডলারের চাপে অস্থির তেল-চিনির পাইকারি বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ১১ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৮ এএম, ৬ জুলাই,রবিবার,২০২৫

নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। সপ্তাহের শুরুতেই ভোজ্যতেল, চিনি ও গমের দাম বেড়েছে হু হু করে। দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ ভোজ্যতেলে ৩০০ টাকা, চিনিতে দুইশ টাকা এবং গমে আরও দেড়শ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দামে ঊর্ধ্বমুখিতার কারণে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট ওঠানামার কারণে গত কয়েক মাস ধরে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা ছিল। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। বাংলাদেশে পাম অয়েলের বাজার সে সময় প্রতি মণ ৬ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ইন্দোনেশিয়া রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে স্বাভাবিক হতে থাকে ভোজ্যতেলের বাজার। বিশেষত গত সপ্তাহে পাম অয়েলের দাম ৪৭০০ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু গত দুদিনে আবার বেড়েছে পাম অয়েলের দাম। খাতুনগঞ্জে দুদিন আগে সিটি গ্রুপের পাম অয়েল ৪৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও বুধবার রাতে ৫১০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। অন্যদিকে এসআলম গ্রুপের পাম অয়েল দুদিন আগে ৪৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে বুধবার ৪৯৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ভোজ্যতেলের পাশাপাশি চিনির দামও বেড়েছে। গত কয়েকমাস ধরে খাতুনগঞ্জে প্রতি মণ চিনি ২৬শ থেকে ২৮শ টাকায় বেচাকেনা হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত দুদিনে চিনির দাম ছাড়িয়েছে মণপ্রতি তিন হাজার টাকা। খাতুনগঞ্জের ডিও ব্যবসায়ী আবু তাহের বুধবার রাতে বলেন, একদিন আগেও প্রতি মণ পাম অয়েল ছিল ৪৭শ টাকা। আজকে ৫ হাজার ১০০ টাকা। চিনির দামও বেড়েছে। ২৮৫০ টাকার চিনি আজকে ৩ হাজার ৫০ টাকা। হঠাৎ করে হু হু করে দাম বাড়ছে। বাজার গরম, তাই আজকে রাত ১০টা পর্যন্ত ডিও কেনাবেচা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এস আলম গ্রুপের চিনি প্রতি মণ ৩ হাজার টাকা, সিটি গ্রুপের চিনি ৩০৫০ টাকা এবং মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চিনি বিক্রি হয়েছে ৩০৩০ টাকায়। খাতুনগঞ্জের চিনির ব্যবসায়ী ইমাম শরীফ ব্রাদার্সের পরিচালক ছৈয়দুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ৯০ টাকার ডলার এখন ১২০ টাকা। চিনির (কাঁচামাল) আসে বিদেশ থেকে আমদানি হয়ে। যে কারণে ডলারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুধু চিনি নয়, সব পণ্যের দাম বাড়ছে। তাছাড়া মিলগুলোতে বর্তমানে চিনির মজুতও কম। তাই গত দুদিন ধরে চিনির দাম বাড়ছে।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গম নিয়ে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অস্থিরতা শুরু হয়। গত এপ্রিল থেকে গম নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মাতামাতি শুরু হয়। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেল রপ্তানি শুরু করলে আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। কমতে থাকে গমের বুকিং রেটও। কিন্তু খাতুনগঞ্জের বাজারে তার উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমলেও ডলারের দাম বেশি হওয়ার কারণে গমের দাম কমছে না। গত দুদিনে গমের দাম বেড়েছে প্রতি মণে দেড়শ টাকা। খাতুনগঞ্জের গম ব্যবসায়ী আবু তৈয়্যব বলেন, বাজারে নরম গমের চাহিদা বেশি। নরম গম আসে ভারত ও রাশিয়া থেকে। এখন বাজারে রাশিয়ান গম নেই। ইন্ডিয়ান গম থাকলেও দাম বাড়ছে। বুধবার ইন্ডিয়ান গম প্রতি মণ ১৬১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। দুই-তিন দিন আগেও এ গমের দাম ছিল ১৪৬০ টাকা। এ ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ডলারের দাম বাড়ছে। আজকে ১১৯ টাকা পর্যন্ত ডলারের দাম উঠেছে। তেল-চিনি-গমের বাজার আন্তর্জাতিকভাবে ওঠানামা করছে। ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমলেও আমাদের দেশে পণ্যের দাম বাড়ছে। খাতুনগঞ্জের আরএম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, কোনোভাবেই বাজারে ডলারের দাম কমছে না। বর্তমানে যেসব এলসি হচ্ছে, সেগুলোর জন্য বাইরে থেকে ডলার কিনে আমদানিকারকরা এলসি খুলছেন। খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার হলেও এখানকার ভোগ্যপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন ডলারের দাম বাড়তি থাকার কারণে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পণ্যের দাম বাড়ছে। ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বাজার আরও বাড়তে পারে।
চালের বাজার অস্থির, বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা : চট্টগ্রামে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। নিকট ভবিষ্যতে দাম কমার কোনো আভাস নেই । মিল মালিক ও করপোরেট ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ আড়তদারদের। তারা আমদানির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার চট্টগ্রামের চাক্তাই ও পাহাড়তলী চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্বর্ণা সিদ্ধ চালের প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। নাজিরশাইল নামে পরিচিত চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। পাহাড়তলী বাজারে জিরাশাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। মোটা আতপ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চিনিগুড়া চালের দাম। চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ৬ হাজার টাকায়। কাজীর দেউড়ি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিনিগুড়া খুচরায় বস্তাপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। নাজিরশাইল ৩ হাজার ৮০০, জিরাশাল ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। স্বর্ণা (সিদ্ধ) কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে চালের বাজার খুবই অস্থির। তেলের দাম বাড়ার কারণে মিল মালিক ও বিভিন্ন সিন্ডিকেট মিলে চালের দাম বাড়িয়েছে। মিল মালিক ও করপোরেট গ্রুপ— যারা চাল মজুত করে রাখছে, তারা চালের দাম প্রচুর বাড়িয়ে দিয়েছে। এলসি করা চাল বাজারে এখনও প্রবেশ করেনি। এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, চট্টগ্রামে চাল মূলত আসে দিনাজপুর, নওগাঁ, বগুড়া, রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গ থেকে। চালের বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি এক বস্তায়) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। আর চিনিগুড়া চাল বস্তাপ্রতি ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, মোটা সিদ্ধ চাল আগে বিক্রি হতো ১ হাজার ৮০০ টাকায়। এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। আর জিরাশাল চাল আগে বিক্রি হতো ৩২শ টাকায়। এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। নাজিরশাইল আগে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায়। পাইজাম আগে বিক্রি হতো ২ হাজার ৪০০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। বলা যায় বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়েছে চালের দাম।
বাজারে চালের সরবরাহ আছে দাবি করে তিনি বলেন, চালের দাম ওরাই বাড়িয়ে ফেলছে। মিল, করপোরেট ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীরা মিলে দাম বাড়িয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও পাইকারি চাল ব্যবসায়ী শান্ত দাশগুপ্ত বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে চালের পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। আগে ১৩ টন ওজনের ট্রাকভাড়া ছিল ১৪ হাজার টাকা। তা বেড়ে গিয়ে এখন হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। প্রতি বস্তায় চালের খরচ বেড়ে গেছে, যে কারণে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তিনি বলেন, ভারতীয় নাজিরশাইল চাল প্রতি বস্তা (২৫ কেজিতে এক বস্তা) বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮৫০ টাকায়। আগে এ চাল বিক্রি হতো ১ হাজার ৬৮০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। জিরাশাল ৫০ কেজি বস্তার এক বস্তা ভালো চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮৫০ টাকা করে। এ চাল বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়েছে। আর মোটা আতপ বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। আর স্বর্ণা সিদ্ধ চালের দাম বেশি বেড়ে গেছে। আগে ২ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকায়। সামনে চালের দাম কমার সম্ভাবনা আছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনে চালের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। ভাদ্র মাসে নতুন চাল বাজারে আসার কথা। বর্তমানে ১৫ শতাংশ ডিউটি দিয়ে চাল আমদানি করতে হয়। এটি যদি ফ্রি করে দিত বা কমিয়ে দিত, তাহলে কিছুটা কমত। চট্টগ্রাম চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম বলেন, চালের দাম বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে। চট্টগ্রামের বেশিরভাগ চাল আসে উত্তরবঙ্গ, আশুগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চল থেকে। এসব অঞ্চল থেকে চাল নিয়ে আসা প্রতিটি ট্রাকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে চালের ওপর। তবে পরিবহন খরচ যত পড়ে, তার থেকে অনেক বেড়ে গেছে চালের দাম। এমনিতে চালের ক্রাইসিস আছে। বস্তাপ্রতি চালের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তিনি বলেন, স্বর্ণা সিদ্ধ চালের দামটা বেশি বেড়েছে। আগে এই চাল বিক্রি হতো ২ হাজার ৩৫০ টাকায়। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে। এরপর ২৮ চাল বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে। চিনিগুড়া চালের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
সামনে চালের বাজার কেমন হতে পারে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডলারের অবস্থা তেমন ভালো না , ডিউটিও বাড়তি। আমদানি করা চাল যদি বেশি পরিমাণে বাজারে না আসে, তাহলে চালের আরও ক্রাইসিস হতে পারে। চালের দামও আরও বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম কাজির দেউড়ি বাজারের মেসার্স ফয়েজ স্টোরে জসিম উদ্দিন বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আমরা খুচরায় চাল বিক্রি করি। আড়তদারদের থেকে বেশি দামে চাল কিনে আনার কারণে আমাদের বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। একই বাজারের খান ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার বলেন, জাতভেদে চালের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চিনিগুড়া চাল সপ্তাহখানেক আগে কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজি দরে। স্বর্ণা সিদ্ধ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে। আমাদের বেশি দামে চাল কিনতে হয়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়েছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, নতুন করে তারা একটি অজুহাত পেয়েছে দাম বাড়ানোর। তেলের দাম কেমন বেড়েছে, আর চালের দাম কেমন বাড়িয়েছে সরকারের তা দেখা উচিত। ব্যবসায়ীরা তো অযৌক্তিক হারে চালের দাম বাড়াচ্ছেন। জ্বালানি তেলের ইস্যুটাকে সামনে এনে তারা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরকারের উচিত দ্রুত বাজার তদারকি শুরু করা। একটু সুযোগ পেলেই চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ চালের দাম বাড়িয়েছেন, তেলের দাম কিন্তু তেমন বাড়েনি।
তিনি বলেন, এখন দরকার বিষয়গুলো সরকারের খতিয়ে দেখা। শুধুমাত্র বাজার মনিটরিং ভোক্তা অধিদফতরই দেখে। কিন্তু এ জায়গাতে সরকারের অন্যান্য যেসব বিভাগ আছে, যেমন জেলা প্রশাসক, খাদ্য অধিদফতর ও কৃষি বিপণন অধিদফতরসহ সবাই মিলে মনিটরিং করা উচিত। সবাই মিলে দেখা উচিত কেন চালের দাম এত বাড়ছে।