সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলার ১৪ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০২ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলার ৫ উপজেলার ১৪ টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার একদিন আগে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার নিজ বাড়িতে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শরিয়তপুরের নুরিয়া উপজেলা দরবারে আউলিয়ার সুরেশ^র দরবার পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ভোলা জেলার ৫ উপজেলার ১৪ টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
সকাল সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে আমার নিজ বাড়িতে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি নিজেই ওই জামাতে ইমামতি করেছি।
একই সঙ্গে গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে সকাল ৯ টায় এবং পঞ্চায়েত বাড়ির জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৯ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মজনু মিয়া আরও বলেন, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম। বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম। তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম। লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।
সুরেশ^র পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভান্ডারি শরিফ পীরের মুরিদ এসব পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছেন।
সুরেশ^র পীরের মুরিদ আসমত আলী বোরহানউদ্দিনের টবগী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের মতে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সে অনুযায়ী আমরা প্রতি বছর একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছি।