‘হাইকোর্ট নয়, আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ১০ জুলাই,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:১৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হাইকোর্টের একটি রায়কে কেন্দ্র করে কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু হলেও বিষয়টি আর হাইকোর্টের ওপর নির্ভর করছে না বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা। তারা বলছেন, তাদের এখনকার দাবি হলো নির্বাহী বিভাগের কাছে। এজন্য হাইকোর্ট কী রায় দিলেন সেটা তারা দেখতে চান না।
বুধবার (১০ জুলাই) কোটা বহাল করে হাইকোর্টে দেওয়ার রায়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা দেন আপিল বিভাগ। এ সম্পর্কে শাহবাগে অবরোধ চলাকালে প্রতিক্রিয়া জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
দুপুরে সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, এটা আমাদের নির্বাহী বিভাগের কাছে দাবি। কিন্তু হাইকোর্ট যেগুলো করছে পেছানো, স্থগিত করা, এক মাস দুই মাস এক সপ্তাহ, এইগুলো প্রহসনের চরম মাত্রা।’
হাইকোর্টের রায় নিয়ে আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে বসব, সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজকে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চলবে বলে জানান এই সমন্বয়ক।
এদিকে শাহবাগে তা কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ মাইকে ঘোষণা করেন, হাইকোর্ট থেকে আজকে যে রায় আসুক না কেন আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। হাইকোর্টের আমাদের আন্দোলন প্রভাবিত হবে না। তারা যতক্ষণ না পর্যন্ত একটা কমিশন গঠন করে আমাদের সব সরকারি চাকরিতে ৫% কোটা নিশ্চিত না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।
২০১৮ সালের অক্টোবরে কোটাবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে সরকার পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এই রায়ের পর ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে দুই দিন ঢাকায় কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে রাজধানী স্থবির হয়ে পড়ে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা রাজপথ অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। মাঝে এক দিন বিরতি দিয়ে বুধবার আবারও ব্লকেড কর্মসূচিতে রাজপথে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।