স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিডিরেনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ৮ জুলাই,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:১৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিডিরেন একটি সময়োপযোগী ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটি একক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বিডিরেন নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্লাটফর্মের সুবিধা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে দক্ষ জনবল তৈরিতে অবদান রাখছে।
রোববার (৭ জুলাই) রাজধানীর গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডের নাভানা এইচআর টাওয়ারে বিডিরেনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিডিরেন ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসির সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম বিডিরেন-এর কার্যক্রম নিয়ে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিডিরেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিডিরেন থেকে সরাসরি শিক্ষা ও গবেষণা সংক্রান্ত নানা ধরণের ডিজিটাল সেবা নিতে পারেন বলে তিনি জানান।
তিনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্য নিয়ে জাতীয়ভাবে একটি ডিজিটাল তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিডিরেনের সহায়তায় ডিজিটাল তথ্য ভান্ডার গড়ে তুলতে পারে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে। এসব শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটের জন্য একটি ডিজিটাল সনদের ব্যাংক গড়ে তোলা প্রয়োজন। সনদের ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের সব তথ্যের রেকর্ড থাকবে। শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট পোর্টফোলিও তৈরিতে বিডিরেন সহায়তা করতে পারে বলে তিনি জানান।
এছাড়া, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজসমূহের শিক্ষার মানোন্নয়ন, পাঠদান মনিটরিং এবং এডুকেশন ইকো-সিস্টেম তৈরিতে বিডিরেন-এর সহায়তা নিতে তিনি ইউজিসিসহ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। ইউজিসি এ লক্ষ্যে কাজ করছে। কাঠামোগত পরিবর্তনে সরকার বিডিরেন প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বিডিরেনকে স্বাধীনভাবে ও স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। দেশের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে বিডিরেনের ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, বিডিরেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল ও বিডিরেনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিডিরেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিত বিডিরেন ট্রাস্ট- এর গঠন, কার্যক্রম, অর্জন ও লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেন।