বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব র্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৪ জুন,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৬:২০ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলামে বৈচিত্র্য আনা, একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান তৈরি, ল্যাব ও অবকাঠামো সুবিধা বিনিময়, গবেষণার ফলাফল বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ এবং নিজস্ব র্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বেসিক ডিজিটাল লিটারেসি, প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস, ভাষা শিক্ষা ও যোগাযোগ দক্ষতা প্রদানেরও আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (২৩ জুন) ৪৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রীদেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষা ও গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্ম যোগ্যতায় অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সংযোগ ঘটাতে হবে, তাদেরকে কর্মক্ষেত্রের উপযোগী দক্ষতা প্রদান করতে হবে।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নব প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জেলার সরকারি কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেন। পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবকাঠামো ছাড়া নতুন বিভাগ না খোলারও পরামর্শ দেন তিনি। অধিভুক্ত কলেজের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য একাডেমিক মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, প্রফেসর ড. মো. জাকির হোসেন, সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এ ছাড়া, অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং সফলভাবে এপিএ বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া।
অনুষ্ঠানে প্রফেসর আলমগীর বলেন, গুণগত শিক্ষা, গবেষণার মানোন্নয়ন, উদ্ভাবন, শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি এবং বিদেশি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এপিএ চুক্তি বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি সরকারের অন্যান্য কমিশনের মতো করে ইউজিসির স্বতন্ত্র বাজেট বরাদ্দ, বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত দাপ্তরিক বিষয় নিষ্পতির বিষয়েও কথা বলেন।
সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অবস্থান শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এপিএ বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জনকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সার্টিফিকেট ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান।
অনুষ্ঠানে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসির পরিচালক, ৪৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাসহ ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।