বুয়েটের আন্দোলনে কারও ইন্ধন আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ৩১ মার্চ,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:৪৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মধ্যরাতে ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন চলছে এর পেছনে কারও ইন্ধন আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল। বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও রাষ্ট্রীয় দিবস পালনে বাধা দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বুয়েটের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পেছন থেকে কেউ ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, পেছন থেকে কেউ কি জঙ্গিবাদী কিংবা উগ্রবাদী মানসিকতার কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ এই আলোচনাটা বারবার আসছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছেন কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমন একটি আলোচনা-সমালোচনা ছিল। সে বিষয়টি আমরা আরও গভীরভাবে তদন্ত করব। তবে চলমান আন্দোলন নিয়ে শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষকে আহবান জানাব, সেখানে শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট। ছাত্র রাজনীতি প্রতিরোধে ছয় দফা দাবি পেশ করেছেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রোগ্রাম করেছেন এমন অভিযোগ তুলে দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষকে আলটিমেটামও দিয়েছেন শিক্ষার্থী।
এদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকে বেআইনি বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে যে আন্দোলন চলছে সেটার সঙ্গেও তিনি সহমত পোষণ করেছেন। তবে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পূরণ সময়সাপেক্ষ বলে জানিয়েছেন বুয়েট ভিসি।
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে `বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা - শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, স্বাগত বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র সরকার।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী।
উপস্থাপিত প্রবন্ধের ওপর মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি প্রফেসর মো. মামুন উল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত হোসেন মোল্যা।
সেমিনারে বিভিন্ন দফতর- সংস্থার প্রধানগণ, সরকারি কলেজসমূহের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ পাঁচ শতাধিক ক্যাডার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের শুধু গতানুগতিক কাজগুলোতে সীমাবদ্ধ না রেখে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজেও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখা এবং বৃহৎ পরিসরে চিন্তা করার উপর গুরুত্ব দিতে বলেন।
সেমিনারে বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন খুজিস্তা আক্তারা বানু, সামিয়া চাঁদ সোমা এবং সরকার মোহাম্মদ শফিউল্লা দিদার।